শনিবার ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশে বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ

পান্না কুমার রায় রজত   |   মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ ২০২২   |   প্রিন্ট   |   259 বার পঠিত

বিদেশে বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত এবং বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহায়তা বিষয়কমন্ত্রী নালেডি ম্যানডিসা প্যান্ডর ১৯ নভেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএসবিস) মন্ত্রী-পর্যায়ের এক বৈঠকে বলেছেন, আফ্রিকা মহাদেশের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যের যেমন বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের বাজারেও আফ্রিকার বাণিজ্য করার সমান সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশের বাজারটা বড়। আবার আফ্রিকা মহাদেশের জনসংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। এই বাজারটাও অনেক বড়। তাই আমাদের একে অন্যকে উৎসাহিত করা উচিত। এই আহ্বান আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের উদ্যোক্তাদের দেশের বাইরেব্যবসার সুযোগ নেয়ার জন্য আরো ইতিবাচক গতি আনয়ন করবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশের উদ্যোক্তারাও অনেকদিন ধরে দেশের বাহিরে বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করে আসছিলেন। তবে বাংলাদেশ বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীরগতিতে এগিয়েছে। এতোদিন বিশেষ বিবেচনায় বা কেস টু কেসভিত্তিতে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনো বিধিমালা ছিল না। তবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিদেশে মূলধনী হিসাব লেনদেনের বিধিমালা জারি করায় রফতানিমুখী সব প্রতিষ্ঠানই বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেল এবংবিদেশে বৈধভাবে বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত হলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে কেস টু কেস ভিত্তিতে বিদেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার অবস্থা আলোকপাত করলে আমরা দেখতে পাই, দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপ ২০ মিলিয়ন ডলারে রবিন রিসোর্সেস নামক একটি মালয়েশিয়ান কোম্পানি অধিগ্রহণ করে। সেই বিনিয়োগ থেকে কোম্পানিটি ভালো রিটার্ন এনে দিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটিতে পাঁচ শতাধিক লোক কর্মরত। বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারক স্প্যারো গ্রুপ ২০০৭ সালে একটি শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় পোশাক রফতানিকারকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি গঠন করে জর্ডানে বিনিয়োগ করে। সেই কারখানায় এখন ১৬০০ বাংলাদেশি ও ৫০০ স্থানীয় লোক কাজ করছে। কারখানাটির বার্ষিক র্টানওভার ৭০ মিলিয়ন ডলার। তবে বিদেশে ব্যবসা করতে গিয়ে খারাপ অবস্থানে আছে ডিবিএল গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুযোগ এবং কম মূল্যের জমিও সস্তা শ্রমের সুবিধা নিতে ২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার তিগ্রে অঞ্চলে একটি পোশাক কারখানা স্থাপন করেছিল ডিবিএল গ্রুপ। কিন্তু, ২০২০ সালে এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ওই কারখানা করে দিয়ে ইথিওপিয়া থেকে শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয় ডিবিএল। এখনও গৃহযুদ্ধ চলছে তাই কারখানাটি পুনরায় খোলার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ২০১৩ সালে এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে মায়ানমারভিত্তিক একটি পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি কোম্পানি গঠন করে এবং প্রতিবেশী দেশটিতে ৫ দশমিক ১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে। শুরুতে কোম্পানিটি ভালো লাভই করেছিল, কিন্তু মায়ানমারের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন এবং জবাবদিহির অভাবের কারণে কয়েক বছর পরই লোকসান দিতে শুরু করে এমজেএল, অবশেষে ব্যাপক লোকসানের পর ২০২০ সালে ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসে কোম্পানিটি।

২০১৪ সালে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে এস্তোনিয়ায় যৌথউদ্যোগে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার কঠোর শর্তারোপ করায় সে উদ্যোগ আর এগোয়নি। কেস টু কেস ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ভারত, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও সৌদিআরবে অবশিষ্ট ১৩টি প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইথিওপিয়া ও কেনিয়ায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি পায়। সূত্র মতে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করা পুঁজি বেড়ে দাড়িয়েছে ৩২ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। মুনাফা ও অন্যান্য ফি বাবদ দেশে ফেরত আনা হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার ।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতন এবং ইউনিয়ন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া বিশ^ অর্থনীতির বড় অঘটনের জন্ম দেয়। একটি মতবাদকে ভিত্তি করে যে সমাজ বিপ্লব সাধিত হয়েছিল ১৯১৭ সালে মাত্র পৌনে এক শতাব্দী পার হতে না হতেই এই সমাজতন্ত্রের মুখ থুবড়ে পড়লো। এর মূল কারণ হল একটি আর তা হচ্ছে অর্থনীতি, সমাজতান্ত্রিক একচেটিয়া অর্থনীতি। সমাজের উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা রাষ্ট্র, সার্বিক কঠোর পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমাজের চাহিদা পূরণই হলো সমাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার মূল কথা। এ ব্যবস্থায় কোন প্রতিযোগিতা ছিল না বলেই উৎপাদন ক্ষমতায় চরম ভাটা পড়ে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাই বৈশি^ক বাজারে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগের বৈধ পথ উন্মোক্ত করার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে আমি মনে করি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি যা গেজেট আকারে প্রকাশ করে। নতুন এ নীতিমালায় বলা হয়, বাংলাদেশের যেসব কোম্পানি বিদেশে পণ্য রফতানি করে তারা চাইলে এখন বিদেশেও তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে। এর মাধ্যমে বৈশি^কবাজারে দেশে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির পথ সুগম হলো। তবে বিনিয়োগের আগে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা, কাঁচামালের পর্যাপ্ততা, পণ্যের বিক্রয়মূল্য, উৎপাদন খরচ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ইত্যাদি মূল্যায়ন করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

গত ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন নীতিমালার ফলে কেবল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রিটেনশন কোটা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে। ওই কোটায় পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা থাকতে হবে এবং রফতানিকারকদের আর্থিক সচ্ছলতাও থাকতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগে আগ্রহী রফতানিকারকদের ক্রেডিট রেটিং গ্রেড দুই হতে হবে। বিনিয়োগ প্রস্তাবটি নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক হতে হবে, থাকতে হবে বৈদেশিক আয়ের সম্ভাবনা। নিয়মিত রফতানি আয় দেশে এসেছে এবং আমদানি দায় পরিশোধিত হয়েছে বলে ব্যাংক থেকে সনদ নিতে হবে। শুল্ক, ভ্যাট, আয়কর নিয়মিত পরিশোধিত থাকতে হবে। সহজ কথায় রফতানিকারকরা তাদের মোট রফতানি আয়ের ৪০ শতাংশ রিটেনশন কোটায় বিদেশে রাখতে পারবে। ওই অর্থ বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থে খরচ করতে পারবে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ সব সময় রাখতে পারবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ওই অর্থই বিদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপি বা পুনর্গঠিত বড় অঙ্কের ঋণ আছে এমন কোন রফতানিকারক বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারবে না। এ ছাড়া সব দেশে পুঁজি বিনিয়োগ করা যাবে না। যেসব দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাজ করার ও তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণের বাধা নেই, বাংলাদেশের দ্বৈতকর পরিহার চুক্তি রয়েছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ অন্যান্য অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বি-পক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষন চুক্তি রয়েছে ওই সব দেশে পুঁজি বিনিয়োগ করা যাবে। যে সব দেশে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন ট্রাস্কফোর্স কতৃর্ক যেসব দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যে সব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই সেই সব দেশে বিনিয়োগ করা যাবে না। এখন আমাদের বাংলাদেশের জন্য এই বিদেশি বিনিয়োগের লাভ ক্ষতির হিসাবে আসা যাক। লাভের হিসাব করলে আমরা বলতে পারি দেশে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন পর্যাপ্ত গ্যাস বিদ্যুৎ ও দক্ষ মানবসম্পদ না থাকার কারণে এবং বাজারের আকারের জন্য যেসব উদ্যোক্তা পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে পারছিল না তাদের জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ। তারা ওদের অব্যবহৃত অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে এবং বিনিয়োগ থেকে যে রিটার্ন পাবে তার একটি অংশ দেশে আসলে সরকার রাজস্ব পাবে। তাছাড়া অনেক বাংলাদেশি কোম্পানি বিদেশে রফতানি করছে কিন্তু তাদের সাপ্লাই চেন ডেভেলপ করতে পারছে না। তারা বাইরের এজেন্টের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করে এবং সেই এজেন্ট তা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে ফলে কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের পণ্য প্রমোট করতে পারে না। এসব কোম্পানিগুলো তাদের ব্র্যান্ড প্রমোট করতে পারবে। এ ছাড়া যারা বায়ার তারা এখন দেখে বাংলাদেশে যারা বড় রফতানিকারক বা বড় ব্যবসা করে, তৃতীয় কোনো দেশে তাদের কোনো বিনিয়োগ আছে কিনা। সেই সব প্রেক্ষিতে আমাদের প্রত্যাশা প্রাপ্তি ভালোই হবে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমরা কোন ধরনের কাঁচামাল দিয়ে আমাদের পণ্য তৈরি করি যদি আমরা যে দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করি এবং উক্ত কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদিত পণ্য সেই দেশেই রফতানি করি, তাহলে আমাদের সেই রফতানিকারক দেশে কারখানা স্থাপন করা হলে উৎপাদন খরচ কম হবে। কোম্পানিও লাভবান হবে দেশও রিটার্ন পাবে ভালো। যেমন কৃষি পণ্য আমদানি করতে হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমদানি করতে হয়। কারণ কোনো এপিডেমিক (মহামারী) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের জন্য ঝুঁকি হবে। যেমন তুলা। আমেরিকা থেকে যে তুলা আনা হয় আমাদের দেশে ডাবল চেক করা হয়। এটাকে ফিউমিগেশন বলে। ফিউমিগেশন হলো আমরা যখন কোনো কৃষিপণ্য আনি তখন ওটার মধ্যে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আছে কিনা এটা আমাদের এখানে এপিডেমিক করবে কিনা। কারণ অনেক দেশের তুলাতে এক ধরনের পোকা থাকে। এই পোকা যদি এয়ারে চলে যায়, তাহলে আমাদের দেশের শুধু তুলা না অন্য প্ল্যান্টে বা ফলের মধ্যেওমেসিভ নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে। তাই এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। পক্ষান্তরেআবার প্রচুর অর্থ পাচারের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। ‘আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪’ মোতাবেক তাৎক্ষণিকভাবে পণ্য আমদানির জন্য টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে (টিটি) আমদানি সীমা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে টিটির মাধ্যমে বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ডলারের পণ্যআমদানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। আগে টিটির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা যেত। এটাকে বাড়িয়ে ৫ লাখ ডলার করা হয়েছে। এই বৃদ্ধি নেতিবাচক হতে পারে কারণ আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা দেশের বাহিরে চলে যেতে পারে তাছাড়া এলসি বা ঋণপত্রের মাধ্যমে আমদানির ক্ষেত্রে অনেক ধরনের নথিপত্র থাকে। এক্ষেত্রে বিদেশের পণ্য বিক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু টিটির মাধ্যমে পণ্য আমদানিকৃত পণ্যমূল্য অগ্রিম পাঠাতে হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পণ্য না পাঠালে এই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন।

বাজার অর্থনীতি বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের বিনিয়োগ এখন সারা বিশে^ ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে যেসব কোম্পানি বিদেশে পণ্য রফতানি করে তারা চাইলে এখন থেকে বিশে^র বিভিন্ন দেশে ০৭ টি শর্ত সাপেক্ষে বিনিয়োগ করতে পারবে। কোম্পানিগুলো বিদেশে উৎপাদিত পণ্য সে দেশে বাজারজাত এবং দেশে এনেও বিক্রি করতে পারবে। অর্থনীতি বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, বৈদেশিক মুদ্রার আয় আরো বাড়ানো, দেশ থেকে মুদ্রাপাচার বন্ধ এবং বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থাপনা ও তদারকিতে আরো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতি বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটেছে।বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এক্ষেত্রে আরো একটি মাইলফলক অর্জন।

 

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:২৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।