নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 337 বার পঠিত
দেশে সাধারণ বীমা ব্যবসার প্রসারে ‘বীমা ব্রোকার’ লাইসেন্স প্রদান বিধিমালার একটি খসড়া প্র্রস্তুত করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সম্প্রতি খসড়া বিধিমালাটি আইডিআরএ’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বীমা আইন ২০১০-এর ১২৬ ধারা অনুযায়ী সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো আইডিআরএ’র ইস্যুকৃত ব্রোকার লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বীমা ব্রোকার হিসেবে নিযুক্ত করতে পারবে, যা সাধারণ বীমা ব্যবসার প্রসারে এবং দেশের নন-লাইফ বীমাখাতে পেশাদারিত্ব সৃষ্টিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে।
বিধিমালায় ব্রোকার লাইসেন্স পেতে হলে দুই কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের শর্ত এবং ৫০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে কোনো তফিসিলি ব্যাংকে প্রারম্ভিক মূলধনের ২০ শতাংশ স্থায়ী আমানত আকারে জমা, নির্ধারিত আচরণবিধি প্রতিপালন এবং পেশাগত ক্ষতিপূরণ বীমা গ্রহণের শর্ত রাখা হয়েছে। শর্তাদি প্রতিপালনে ৩ বছরের জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা হবে এবং ৩ বছর পর আবার নবায়ন করতে হবে।
খসড়া বিধিমালায় একজন বীমা ব্রোকারের কার্যাদির মধ্যে বীমাকারীর পক্ষে বীমা এজেন্ট নিয়োগ বা বীমা ব্যবসা গ্রহণ করা; বীমাকারী বা পুনর্বীমাকারী অথবা উভয়ের জন্য সরাসরি বীমা ব্যবসা সংগ্রহ করা; বীমাকারী বা পুনর্বীমাকারী অথবা উভয়ের জন্য প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক কার্যসম্পাদন করা, যা অন্তর্ভুক্ত করবে কিন্তু সীমিত করবে না
এ ছাড়াও যথোপযুক্ত বীমা আবরণ ও শর্তাদির ওপর উপদেশ প্রদান; দাবির দরকষাকষিত সহায়তা করা; দাবির যথাযথ খতিয়ান রক্ষণাবেক্ষণ করা; পুনর্বীমাকারী ও অন্যদের সহায়তা করতে বীমাকারীর ব্যবসার বিশদ বিবরণসহ খতিয়ান রক্ষণাবেক্ষণ; পুনর্বীমার জন্য পরামর্শ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সেবা প্রদান করা এবং গ্রাহকের (বীমাগ্রহীতা বা বীমাকারী) পক্ষে পুনর্বীমাকারীর সাথে দরকষাকষি করা।
কোনো বীমা ব্রোকারকে পারিশ্রমিক (রয়ালটি বা লাইসেন্স ফি বা প্রশাসনিক চার্জ বা ওইরূপ ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভুক্ত করে) হিসাবে নির্ধারিত হারের অধিক প্রদান করা যাবে না বা পরিশোধ করার চুক্তি করা যাবে না, সরাসরি নন-লাইফ বীমা ব্যবসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চুক্তির অধীন অর্জিত প্রিমিয়ামের সাড়ে ১২ শতাংশ; বীমা এজেন্টের মাধ্যমে নন-লাইফ ব্যবসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চুক্তির অধীন অর্জিত প্রিমিয়ামের ১৫ শতাংশ, যা থেকে এজেন্টদের পরিশোধিত কমিশন বাদ দিতে হবে; অন্য যে কোনো সেবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চুক্তির অধীন অর্জিত প্রিমিয়ামের ৫ শতাংশ।
লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন করতে আবেদনের সাথে বীমা ব্রোকারকে নিম্নবর্ণিত ফি পরিশোধ করতে হবে- লাইসেন্স ইস্যুর জন্য ৫০ হাজার টাকা; লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা; প্রতিদিন বিলম্বের জন্য অতিরিক্ত ফি’র পরিমাণ ৫ হাজার টাকা এবং প্রতিলিপি লাইসেন্স ইস্যুর জন্য ৫ হাজার টাকা। এসব ফি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুক‚লে ক্রসড চেক, ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমেত পরিশোধ করতে হবে।
খসড়ার ক্রমিক ৩ বিধিতে বলা হয়েছে, বীমা ব্রোকারের লাইসেন্স অবশ্যই ওইসব কোম্পানির প্রতি ইস্যু করা হবে, যারা অন্যূন নিম্নোল্লিখিত শর্তাদি প্রতিপালন করে বিধি ৯-এ নির্ধারিত পরিশোধিত মূলধন; বিধি ১০-এ নির্ধারিত সংবিধিবদ্ধ জমা; বিধি-১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত আচরণবিধি; বিধি-২০ অনুযায়ী নির্ধারিত পেশাগত ক্ষতিপূরণ বীমা এবং বিধি-২২ অনুযায়ী নির্ধারিত ফি পরিশোধ।
Posted ৪:১৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed