মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা

পান্না কুমার রায় রজত   |   রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২   |   প্রিন্ট   |   318 বার পঠিত

বৈদেশিক ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা

চীন ও লাওসের মধ্যে রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পটি চীনের দেয়া ঋণে অর্থায়িত উদ্যোগগুলোর একটা বড় দৃষ্টান্ত। গত কয়েক দশক ধরে লাওসের রাজনীতিবিদরা এমন একটি সংযোগের স্বপ্ন দেখছিলেন, যাতে ভূ-বেষ্টিত দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সাথে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হতে পারে। তবে লাওসের প্রকৌশলীরা বলেছেন,এ প্রকল্প হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কারণ এই রেললাইন করতে হবে উঁচু পার্বত্য এলাকা দিয়ে। বানাতে হবে অনেকগুলো সুড়ঙ্গ ও সেতু। লাওস একটি গরীব দেশ এবং এ প্রকল্পের সামান্য অংশের খরচ মেটানোর সামর্থও তাদের নেই। কিন্তু চীনের উচ্চভিলাষী ব্যাংকাররা মঞ্চে প্রবেশ করার সাথে সাথেই চিত্র পাল্টে যায়। চীনের কয়েকটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এবং রাষ্ট্রীয় ঋণদাতাদের একটি কনসোর্টিয়াম এ প্রকল্পে সহায়তা প্রস্তাব দেয়। ৫৯০ কোটি ডলারের সেই রেললাইন চালু হবার পথে ছিল, তবে লাওসকে এ জন্য ৪৮ কোটি ডলারের একটি ঋণ নিতে হয়েছিল একটি চীনা ব্যাংক থেকে। যাতে ওই প্রকল্পে দেশটির যে ইকুইটি তার অর্থায়ন করা যায়। লাওসের অর্থনীতিতে সামান্য যে কয়েকটি খাত লাভজনক তার একটি হচ্ছে তাদের পটাশের খনি। এই খনির আয়কে কাজে লাগিয়ে দেশটি সেই বিশাল ঋণ নিয়েছিল। এই রেললাইনের কাজে নিয়োজিত অধিকাংশ মালিকই ছিল চীনা নিয়ন্ত্রিত রেলওয়ে গ্রুপ। কিন্তু চুক্তিটা করা হয়েছিল এমনভাবে যে রেলপথের ঋণের জন্য চূড়ান্তভাবে দায়ী হচ্ছে লাওস সরকার। এই চুক্তির কারণে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছে লাওসের রেটিং একেবারে নিচে নেমে যায়। লাওসের দেউলিয়া হবার উপক্রম হলো। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটি চীনা দাতাদের ঋণের ভার হালকা করতে তাদের একটি বড় সম্পদ জ¦ালানি গ্রিডের একাংশ ৬০ কোটি ডলারে চীনের কাছেই বিক্রি করে দিল। এ ঘটনা যখন ঘটছে তখনও সেই রেললাইন চালুই হয়নি। চীনের সমালোচকরা এ ব্যাপারে প্রায়শ, যে দেশটির উদাহরণ দেয় তা হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই দেশটি কয়েক বছর আগে চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে হাম্বানটোটায় একটি বৃহৎ আকারের বন্দর নির্মাণের প্রকল্প শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা আরো চীনা বিনিয়োগের বিনিময়ে এই বন্দরের ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না মার্চেন্টস কোম্পানির কাছে ৯৯ বছরের জন্য ছেড়ে দেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশগুলো কি তাহলে ঋণ নেয়ার পূর্বে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা ও প্রকল্পের সুবিধাসমূহ যাছাই করেনি নাকি অভ্যন্তরীণ মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অদূরদর্শিতা, অনিয়ন্ত্রিত কঠিন শর্তের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ, বা মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি প্রভৃতি কারণে এমনটি হয়েছে?

১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতা লাভ করে। আমাদের বন্ধু দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ভালোই চলছিল সেই থেকে দেশটি। বিপত্তিটা ঘটে তখনই যখন উন্নয়নের জোয়ারে নিজেদের ভাসিয়ে দিতে যাচ্ছিল। গত ১৫ বছর ধরে শ্রীলঙ্কা বেশ কিছু মেগা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর ও রাস্তাসহ নানা প্রকল্প। সেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য সে দেশ বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়েছে। জানা যায়, গত ১৫ বছরে বিদেশি বিনিয়োগ তেমন হয়নি। সরকার ঋণ করার প্রতি বেশি মনোযোগী ছিল। এই ঋণের অর্থ অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে আজ দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। সংকট এতটাই তীব্র যে, কাগজ, জ¦ালানি তেলসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সংকুলান নাই। ফলে কাগজ সংকটে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। জ¦ালানি তেল সংকটে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দৈনিক ১০ ঘন্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস কোম্পানি সিলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে জনসাধারণ যেন ডিজেলের জন্য লাইনে না দাঁড়ায়। কারণ অর্থের অভাবে ৩৭ হাজার ৫০০ টন ডিজেলের চালান আনতে পারেনি সিলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। দেশটির এই নাজুক পরিস্থিতির কারণ পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, পর্যটন শিল্প দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার বড় জোগানদাতা। এছাড়া করোনার কারণে ২০২০ ও২০২১ সালে দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শ্রীলঙ্কা অর্থনীতিতে। তারপর শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার উৎস প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স, যা করোনার কারণে ২৩ শতাংশ কমে যায়। কর ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে কর কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, কর কমানোর ফলে সরকারির ২৮ শতাংশ রাজস্ব আয় কমে গেছে। সরকার সব রকম সার ও কীটনাশক আমদানি নিষিদ্ধ করে শতভাগ অর্গানিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের দিকে ধাবিত করেছে, ফলে কৃষি উৎপাদনে ধস। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর রাস্তা এবং আরও নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। রাজধানী কলম্বোর কাছেই সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে কলম্বো পোর্ট সিটি নামে আরেকটি শহর তৈরি করা হচ্ছে। গত একদশকে শ্রীলঙ্কা চীনের কাছ থেকেই ঋণ নিয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার, যা তাদের মোট ঋণের ১০ শতাংশ। এইসব বিলাসী ও অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তসমূহ শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে ডুবিয়ে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ কী শ্রীলঙ্কার মতো হতে যাচ্ছে? বা বাংলাদেশ কী চীনের ঋণের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে! এমন প্রচার শোনা যাচ্ছে, তাহলে বিষয়টা কী?

অর্থনীতিবিদরা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করছেন শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তারপর তারা বলছেন, শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় কারণ তাদের বিদেশি ঋণ আর এই ক্ষেত্রে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো জিডিপি ও ঋণের অনুপাত। শ্রীলঙ্কার ঋণ জিডিপি’র ৯০ ভাগের বেশি। আর বাংলাদেশের তো ৩৪ থেকে ৩৫ ভাগ। বাংলাদেশের এখন মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৪৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কার ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের জনসংখ্যা (বিবিএস)-এর হিসাব মোতাবেক ১৬ কোটি ৯৩ লাখ। শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা ২ কোটি। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ ২৯২ দশমিক ২১ ডলার আর শ্রীলঙ্কার মাথাপিছ ঋণ ১ হাজার ৬৫০ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পেয়েছে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। শ্রীলঙ্কা রেমিট্যান্স পেয়েছে ৮ বিলিয়ন ডলার। ওই সময়ে বাংলাদেশ রফতানি আয় ৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি আর শ্রীলঙ্কার ২ বিলিয়ন ডলারের কম। শ্রীলঙ্কার ঋণের ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ডে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ঋণ ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, জাপানের কাছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং চীনের কাছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। আমরা যদি বাংলাদেশের চীনা ঋণ নিয়ে আলোকপাত করি তাহলে দেখা যায় যে, বিশ^ ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এমনকি জাপান থেকে নেওয়া ঋণের তুলনায় চীনা ঋণ অনেক কম। প্রসঙ্গত ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ঋণ বা অনুদান হিসেবে বাংলাদেশে অর্থায়ন শুরু করে চীন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পরিসংখ্যান বলছে ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরশুরুর পর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৩২০ কোটি ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার ডলারের ঋণ অনুদান বা অর্থ সহায়তা দিয়েছে চীন।

বাংলাদেশে চলমান বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পে চীনা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন রয়েছে। ইআরডি তথ্য মোতাবেক ৩ হাজার ৪০০ মিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ তৈরি হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিয়মাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে ডিসেম্বরে। পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেল সংযোগের কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনা রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআইসি)। এ প্রকল্পে ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলার পায়রায় নির্মিতব্য ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চীন বিনিয়োগ করছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। রাজধানী ঢাকার বিদ্যুতের আধুনিকায়নে বিনিয়োগ করছে চীন। বিশেষত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার অর্থায়ন করছে চীন। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৪০ শতাংশের ওপর হলে সেটি চিন্তার বিষয়। সেখানে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণমাত্র ১৪ শতাংশ যার মধ্যে চীনের অংশ আনুমানিক ৬ শতাংশ, যা খুবই কম। তারপরও অর্থনীতিবিদগণ অপ্রয়োজনীয় ও অনুৎপাদনশীল খাতে বৈদেশিক ঋণ না নেয়ার জন্য মতামত ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশের ঋণ যেমন বেড়েছে তেমনি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও বেড়েছে। তবে মেগা প্রকল্পের রিটার্ন আমাদের কেমন আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতির বন্টন প্রক্রিয়ায় আমাদের সবসময় কৌশলী হতে হবে।

গত ৬ এপ্রিল ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের ১৭ তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন ‘আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত ঋণ নিয়েছি তা সময়মতো পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ একটি দেশ যে দেশ কোনোদিন ঋণ পরিশোধে ডিফল্ডার হয়নি, হবেও না। সে দিক থেকে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই, আমরা সতর্ক’। বাংলাদেশের সুপরিকল্পিত নীতিগত কাঠামো এবং দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা করে আসছে। শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ফলে কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে ও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে শুধু প্রবৃদ্ধি নয় কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি করতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ আহরণে আরো বেশি জোর দিতে হবে, যা দীর্ঘস্থায়ী অর্থনীতির কাঠামো মজবুত করতে সহায়তা করবে বলে আমি মনে করি।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।