মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক বিনিয়োগ তেজিকরণ এবং ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’

পান্না কুমার রায় রজত   |   বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট   |   675 বার পঠিত

বৈদেশিক বিনিয়োগ তেজিকরণ এবং ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’

বিশ্বায়নের এই যুগে দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের একটি অন্যতম উপায় হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ-প্রবাহ সচল রাখা। অনেক ক্ষেত্রেই স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগদাতা (এফডিআই) এবং গ্রহীতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক। গ্রহীতা দেশগুলো সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধন এবং প্রযুক্তি গ্রহণের সুযোগ পায়। এর মাধ্যমে এই দেশগুলো বিদেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। অন্যদিকে এফডিআইয়ের মাধ্যমে দাতাদেশগুলো খুব সহজেই অন্যদেশের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে পায় প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সহজলভ্যতা, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় প্রবেশ ও উৎপাদনের উৎকর্ষতা বাড়ানোর সুযোগ। এ ছাড়া বিনিয়োগ গ্রহীতা দেশ আন্তর্র্জাতিক বাজারে যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে থাকে বিনিয়োগকারী দেশ তা-ও পেয়ে যায়।

বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ। বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, তুলনামূলক সস্তা শ্রম, সমৃদ্ধ বন্দর, দীর্ঘমেয়াদি কর ছাড়, একশটির বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন এবং আঞ্চলিক বাজারগুলোতে সহজ প্রবেশাধিকারের কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে হিসেবে বিবেচিত হবার দাবি রাখে। অর্থনৈতিক নীতির মূলভিত্তি হলো সম্পদের উৎপাদন ও বণ্টনে প্রতিযোগিতামূলক বাজার অর্থনীতির ওপর আস্থা এবং বেসরকারি খাতের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দূর করা। সরকার ধাপে ধাপে শিল্প ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে নিজের সম্পৃক্ততা সরিয়ে বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করছে। অর্র্থনৈতিক নীতিসমূহের ক্ষেত্রে সরকার দ্রুত সুনির্দিষ্ট সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত বিনিয়োগনীতি প্রণয়ন করেছে। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অনুঘটকের, কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রকের নয়। সুষম গতিতে বাণিজ্যক্ষেত্রে উদারীকরণ করেছে। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা, যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ এবং রফতানি সুবিধা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন সাধিত হয়েছে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের অদক্ষতা, সম্পদের অপব্যবহার প্রবণতা এবং পরিবর্তনশীল বাজার ও ভোক্তা চাহিদা নির্ধারণে অক্ষমতা, সরকারকে ব্যাপকভিত্তিক বেসরকারিকরণ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া বিশ^ব্যাপী বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতি চলছে। এই অবস্থায় উৎপাদন যন্ত্রের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুবিধাগুলো বিনিয়োগ আরো ত্বরান্বিত করেছে। যেমন- শতভাগ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (ডিএফআই) অথবা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাতে (ইপিজেড) যৌথ বিনিয়োগ অথবা ওই এলাকার বাইরে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাবলিক কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের দ্বারা তালিকাভুক্ত বিনিয়োগ। অবকাঠামোগত প্রকল্পের বিনিয়োগ যেমন- বিদ্যুৎ খাত, তেল-গ্যাস ও খনিজ অনুসন্ধান, টেলিযোগাযোগ, বন্দর, সড়ক ও জনপথ, সরাসরি প্রত্যক্ষ ব্যয় অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করা, বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়াধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেসরকারি ইপিজেড বিনিয়োগ। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে দ্রুত গতিশীল করতে বিশেষত শিল্পায়নকে শক্তিশালী করতে সরকার বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য উন্মুক্ত নীতি গ্রহণ করেছে।

করোনা মহামারীকালে বিদেশি বিনিয়োগে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২০-’২১ অর্থবছরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য মোতাবেক ২০২০-’২১ অর্থবছরে ৩৫০ কোটি ১০ লাখ (৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন) ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে বাংলাদেশে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০১৯-’২০ অর্থবছরে (এফডিআই) এসেছিল ৩২৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। নিট এফডিআই বেড়েছে আরো বেশি, প্রায় ৪০ শতাংশ। গত ২১ জুন ২০২১ জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড ‘বিশ^ বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০২১’ প্রকাশ করেছে, যাতে বছরভিত্তিক এফডিআইয়ের তথ্য স্থান পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে মোট ২.৫৬ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ কম। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৮৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০২০ সালে বাংলাদেশে যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে, সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এফডিআইয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে আঙ্কটাড।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, বিদেশি কোম্পানিগুলো তিনভাবে পুঁজি দেশে আনতে পারে। এগুলো হচ্ছে- মূলধন হিসেবে নগদে বা শিল্পের যন্ত্রপাতি হিসেবে বাংলাদেশে ব্যবসা করে অর্জিত মুনাফা বিদেশে না নিয়ে দেশে পুনর্বিনিয়োগ করে এবং এক কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা। এ তিন পদ্ধতির যে কোনোভাবে বিনিয়োগ করলে তা এফডিআই হিসাবে গণ্য করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মোতাবেক, ২০২০ সালে মোট বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ, ব্যাংকিং খাতে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, টেক্সটাইলে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশনে ১০ দশমিক ১ শতাংশ, খাদ্যে ১৩ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। এই এফডিআইয়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ মূল পুঁজি, ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মুনাফা থেকে পুনরায় বিনিয়োগ এবং ৬ শতাংশ এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানি ঋণ। ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে দেশে মোট ২ হাজার ৫৫০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার (এফডিআই) এসেছে। এর মধ্যে মূল পুঁজি এসেছে ৯১২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা মোট বিনিয়োগের ৩৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। মুনাফা থেকে ও ঋণ থেকে বিনিয়োগ হয়েছে বাকি ৬৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, অর্থাৎ মূল বিনিয়োগ মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। এই সময়ে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট বিনিয়োগের ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর। তারা মোট বিনিয়োগের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ করেছে। তৃতীয় অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, চীনের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, মিসরের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের ৬ দশমিক ১ শতাংশ, হংকংয়ের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং অন্য দেশগুলোর ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে।

করোনাকালে বিশ^মন্দার আশঙ্কাকে মাথায় রেখে সকল রাষ্ট্র অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশও করোনা মহামারীর প্রাণঘাতী সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি প্রায় স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতি গতিশীলতার জন্য সর্বাধিক বেশি গুরুত্ব প্রদান করেছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর। দেশের প্রায় ৮২ শতাংশ আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে সমুদ্রপথে। বিনিয়োগে আগ্রহী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সঙ্গত কারণেই বিশে^র বিভিন্ন দেশে কাক্সিক্ষত গন্তব্যে নিরাপদে তাদের পণ্য পরিবহনে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নির্বিঘ্ন বাণিজ্য সুযোগই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী করবে বলে আমি মনে করি।

আগামী দিনগুলোয় দেশের অর্থনীতিকে প্রত্যাশিত গতিশীলতা দান করতে হলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে রফতানি আয়ও বৃদ্ধি করতে হবে। আর রফতানির নতুন নতুন ক্ষেত্র যুক্ত করা এবং আয় বাড়ানোর জন্য অবকাঠামোগত সক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ‘দ্য বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’ উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপানের ‘বিগ বি’ ধারণার আলোকে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম ঘিরে বাস্তবায়নাধীন বিশাল এক সমন্বিত কার্যক্রম, যা বাংলাদেশকে উপস্থাপিত করবে নতুন এক চেহারায়। এই মহাপরিকল্পনার আওতায় গড়ে উঠেছে গভীর সমুদ্রবন্দর বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি হাব, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও শিল্পাঞ্চল।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পৃথকভাবে সেবা প্রদান করছে।

বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নকল্পে বিনিয়োগকারীদেরকে তাদের প্রস্তাবিত কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো সেবা, সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স অনুমতি ছাড়পত্র বা পারমিট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ আইন মহান জাতীয় সংসদে পাস হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর মধ্যে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিসের’ অংশ হিসেবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সেবা দিচ্ছে বিডা।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বর্তমানে অনলাইন ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ পোর্টালের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংস্থার মাধ্যমে ৪১টি সেবা প্রদান করছে। এর মধ্যে বিডার নিজস্ব সেবা ১৫টি এবং অন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানের ২৬টি সেবা রয়েছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। দিন-রাত যে কোনো সময় অনলাইনে আবেদন করছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যবসার ধরন অনুযায়ী, উদ্যোক্তারা কী কী সেবা দরকার তা চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সংস্থায়। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই সংস্থাকে ওই সেবা দিতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিডার। কোভিড-১৯সহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বিডা বিনিয়োগকারীদের জন্য লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ সেবা অনলাইনে নিয়ে আসতে পেরেছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন আকর্ষণীয় স্থান। বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের পরিবেশ এখন বাংলাদেশে বিদ্যমান। ওয়ান আমব্রেলা বা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আওতায় দ্রুত এবং কম খরচে কার্যাদি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যদূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এফডিআইয়ের প্রভাব বাড়াতে বাংলাদেশ এখন সংকল্পবদ্ধ, তাই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় এমন খাতগুলোতে এফডিআই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

 

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।