বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও উন্নয়নের রেকর্ডে বাংলাদেশ

পান্না কুমার রায় রজত   |   বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   160 বার পঠিত

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও উন্নয়নের রেকর্ডে বাংলাদেশ

অর্থনীতির এক ঘোর অনিশ্চয়তা নিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৩ সাল। করোনা মহামারি, এরপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতিতে নাকাল বিভিন্ন দেশের মানুষ, সেই প্রেক্ষাপটে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বিশ্ব। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও উন্নয়নের শক্তিশালী রেকর্ড প্রদর্শন করে চলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বেড়েছে।

বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি এ তালিকায় বিশ্বের ৫০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারত ও বাংলাদেশ রয়েছে। ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে সদ্য গত ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৩৫তম। আইএমএফের পরিসংখ্যানের বরাতে কানাডার অনলাইন প্রকাশনা সংস্থা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদনের জিডিপি নিরিখে এ তালিকা করা হয়েছে। ‘দি টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি’ শীর্ষক ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। ২০২২ সালে ৩ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে পঞ্চম হয়েছে ভারত। তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি। দেশ চারটির জিডিপি যথাক্রমে- ২৫ দশমিক শূন্য ৩, ১৮ দশমিক ৩২, ৪ দশমিক ৩০ ও ৪ দশমিক শূন্য ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের বাকি পাঁচটি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া ও ইতালি। এদের জিডিপি যথাক্রমে- ৩ দশমিক ২০, ২ দশমিক ৭৮, ২ দশমিক ২০, ২ দশমিক ১৩ ও ১ দশমিক ৯৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯১টি দেশ নিয়ে তৈরি আইএমএফের এ তালিকায় সর্বশেষ নামটি হচ্ছে টুভালু। ৬৬ মিলিয়ন জিডিপি নিয়ে দেশটি ১৯১ তম অবস্থানে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যম এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘শক্তিশালী জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ’ শক্তিশালী তৈরি পোশাকখাত (আরএমজি) ও এর রফতানি স্থিতিশীল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা গত ২০ বছরে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়েছে। এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনালের নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে অল্পসময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নআয়ের এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। অতীতে বাংলাদেশ কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্যই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। আর এই দেশটিই এখন লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের খপ্পর থেকে বের করে আনা এবং ৬ দশমিক ৬ শতাংশেরও বেশি গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। একটি দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি বড় নির্ণায়ক জিডিপি। একটি দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতের পুরো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের (পণ্য ও পরিষেবা) মোট মূল্য উঠে আসে জিডিপিতে।

গত দেড় দশকে ধারাবাহিকভাবে গ্রামীণ উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামে বেড়েছে কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনমুখী কার্যক্রম। শহরের সুবিধা গ্রামমুখী হওয়ার কারণে মানুষ এখন নিজ গ্রামেই থাকতে পছন্দ করছে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দারিদ্র্য বিমোচনমুখী কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে গ্রামেই থাকছেন স্বল্পআয়ের মানুষ। শিক্ষিত বেকারেরা কৃষিফার্ম গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় উৎপাদিত ফসল ও শাকসবজির ভালো দাম পাচ্ছে কৃষকরা। এ কারণে গ্রাম থেকে শহরে মানুষ কম আসছে। যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। কয়েক বছর আগেও শীত মৌসুমে নতুন ধানের নাড়ায় গ্রামে ঘরের ছাউনি ও নতুন খড়ের ঘর নির্মাণের ধুম পড়ে যেতো। এখন গ্রামে কোথাও খড়ের ঘর চোখে পড়ে না। খড়ের ঘর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। খড়ের ঘর এখন গ্রামবাংলার ঐতিহ্য হিসেবে শহরে স্থান করে নিয়েছে বিত্তশালী পরিবার ডেকোরেশনের কাজে। আর গ্রাম শহর হয়ে যাওয়ায় সহজলভ্য খড়ের দাম এখন ধানের চেয়ে দামি পণ্য। এক মণ শুকনো ধান কুড়ি টাকা কেজিতে পাওয়া যায়। এক মণ শুকনো খড়ের দাম ২ হাজার ৪০০ টাকা। খড় এখন শুধু গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় তা কিন্তু নয়। এখন খড় পারটেক্স শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়। ব্যবহার হয় হস্তশিল্পের আসবাবপত্র তৈরির শিল্প হিসেবে। মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যে বেড়েছে তা গ্রামীণ জনগোষ্ঠী নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পারিবারিক চাহিদা মোকাবিলায় তাই প্রমাণ করেছে। সম্প্রতি গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন এবং শহরের মানুষের সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে নগর স্বাস্থ্য জরিপ ২০২১ প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদন বলছে, গ্রাম থেকে শহরে মানুষ আসা কমছে। শহরেও নগরে মানুষ আসা কমছে এটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করছে সংস্থাটি। দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শহরে এসে থেকে যাওয়ার প্রয়োজন কমেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি দেশের গ্রামগুলোর উন্নতি হচ্ছে। প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, কর্মসংস্থান বাড়ছে আর এরই প্রতিফলন পড়েছে অভিবাসনে।
এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, রাজস্বনীতির যুগোপযোগী ও যুক্তিযুক্ত সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে (২০১৬-২০২০) এই পাঁচ বছরের কর-জিডিপির অনুপাত গড়ে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দেখানো হয়। এই হার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তলানিতে, নেপালের অর্ধেকের চেয়ে কম। অন্যদিকে এটাও খেয়াল করা দরকার যে, বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত যেমন ১০ শতাংশ তেমনি আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিও মাত্র ১১ শতাংশ, কর-জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হলে দেশের আনুষ্ঠানিক খাত বড় করতে হবে। এটাও স্বাভাবিক যে, পেমেন্ট ব্যবস্থার বোধগম্য ডিজিটালাইজেশন না করলে, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ধনী-মালিক ব্যবসায়ীদের কর সঠিক হিসাবে আসবে না। ধনিক ও বণিক শ্রেণি থেকে প্রাপ্ত প্রত্যক্ষ কর আদায়ে আন্তরিক না হয়ে আমরা পরোক্ষ কর ও ভ্যাট বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্সেও পরোক্ষ করের ভারী বোঝা চাপিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। অর্থনীতিতে অস্থিরতার মধ্যেও প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বর শেষে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ শতাংশের ওপরে। মোট ৬৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তবে অর্থনীতিবিদরা জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায়ের এ হার অনেক কম বলে তা বাড়াতে আরও জোরালো পদক্ষেপ চান এনবিআরের।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ (বিসিজি) ‘দ্য ট্রিলিয়ন ডলার প্রাইজ: লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ শিরোনামে বাংলাদেশকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিসিজির সমীক্ষায় বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ১ ট্রিলিয়ন বা ১ হাজার বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে যাচ্ছে। বিসিজি বর্তমানের অর্থনৈতিক সংকটকে আমলে নিয়ে বলেছে, ব্যাংক খাতে তারল্য ও বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ এবং মূল্যস্ফীতির মতো স্বল্পমেয়াদি কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির পথে যাত্রার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে না। ওই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রফতানি অনেক খাত ঋণাত্মক হয়ে পড়লেও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই ২০২২ হতে নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত তৈরি পোশাকখাতে রফতানি ১৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরই প্রথমবার রফতানি আয় ৫শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু ও এ বছর উদ্ভোধন হয়েছে। বছরের শেষে মেট্রোরেলের আংশিক উদ্ভোধন হয়েছে। এসব বিষয়ই হয়তো আগামী দিনগুলোতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব আনবে। সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর ২০২২ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৫৩৭ কোটি ডলার। যা এক মাসের রফতানি আয়ের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। এই রফতানি গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। রফতানির মতো প্রবাসী আয় ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। ডিসেম্বরে ১৭০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে ১৬৩ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা।

বিদায়ী ২০২২ সালে বেড়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগও। ২০২১ সাল শেষে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) স্থিতি ছিল ৩৮৮ কোটি ৩২ লাখ ডলারের। ২০২২ সালের জুনে তা বেড়ে ৪৬৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং অক্টোবরে আরো বেড়ে হয়েছে ৬১৮ কোটি ডলার। অর্থনীতিতে ঝঞ্চা এবং বিদেশি মুদ্রায় এ টানাপড়েনের সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আমাদের দেশের জন্য স্বস্তি। এর পেছনে সাহস জোগাচ্ছে বছরের শুরুতেই আইএমএফ এডিবি, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) ঋণ ছাড়ের প্রতিশ্রুতি। বিদেশি মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতাও কমাবে এসব অর্থায়ন। একই সঙ্গে বিলাসপণ্য কমিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির সুফল মিলবে যা বাণিজ্য ঘাটতি এবং বিদেশি লেনদেনের চলতি হিসাবের ঘাটতিতে অনেকটাই ভারসাম্য আনবে। যদিও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির বার্ষিক হার নতুন বছরে ৬ শতাংশ বা তার আশে পাশেই থাকবে বলে বলছে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন আর্থিক খাতের সংস্কার এবং সুশাসন নিশ্চিত না হলে অর্থনীতির সংকট কাটানো কঠিন হবে। কোভিড মহামারি ও ২০২২ সালের অস্থিরতা সামাল দেয়ার অভিজ্ঞতা সেই প্রয়াসে শক্তি জোগাবে এবং ধাক্কা সামলে ২০২৩ সালের অর্থনীতি গতিশীল হবে বলে মনে করছে সরকার।

এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো থাকা, করোনা মহামারি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পূনরুদ্ধারে বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। গত ১০ জানুয়ারি ২০২৩ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ ও ভুটান) অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় সভায় আলাপকালে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ‘একটি অসাধারণ গল্প’ তিনি কান্ট্রি ডিরেক্টরকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অবস্থানকে চোখে পড়ার মতো উপস্থাপন করতে কিছু আইকনিক প্রকল্প গ্রহণের অনুরোধ করেন।

(দ্বিপক্ষীয় সভা) বিশ্ব অর্থনীতির কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরেও বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার অনেক বেড়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সংস্থাটি থেকে ২৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে চলতি অর্থবছরেও ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়ার আশা করছে সরকার। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে আগামী ৩ বছরে আরো ৬১৫ কোটি ডলারের বেশি পাওয়া যেতে পারে। দেশে গত কয়েক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) ধারাবাহিকভাবে কমেছে। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডলার বেশি চলে যাচ্ছে।

রফতানি আয় ও প্রবাসী আয়েও সংকট আছে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ পাওয়া গেলে ডলারের ওপর চাপ কমবে আর শক্তিশালী হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৫:৫৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।