শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়

বিবিএনিউজ.নেট   |   সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   401 বার পঠিত

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়

আট-আটটি ম্যাচের অপেক্ষার পর অবশেষে ৯ম ম্যাচে এসে হাতে ধরা দিল সোনার হরিণ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে ভারত ছিল যেন অজেয় একটি দলের নাম।

সেই দলটিকে তাদেরই মাটিতে সাকিব-তামিম ছাড়াই হারিয়ে দিলো বাংলাদেশ। দিল্লির অরুন জেটলি (সাবেক ফিরোজ শাহ কোটলা) স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মার দলকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের সূচনা করলো বাংলাদেশ।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। সেবার ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ১ রানে পরাজয়ের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। গত বছর শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও জিততে জিততে হারতে হয়েছিল টাইগারদের।

এবার আর আগের সেই ভুলগুলো করেননি ব্যাটসম্যানরা। বরং, মুশফিকের সলিড ব্যাটিংয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ দল।

এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত দুই দেশ আটটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। এর মধ্যে আটটিতেই জিতেছে ভারত। দিল্লির এই ম্যাচের আগে কোনো ম্যাচ না জিতলেও এই ফরম্যাটে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভারতের সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে বাংলাদেশ।

আসুন জেনে নিই আগের আট ম্যাচের সংক্ষিপ্ত চিত্র
১ম টি-টোয়েন্টি
দু’দেশের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ জুন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ২৫ রানে জিতেছিল ভারত। ট্রেন্টব্রিজে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৮০ রান। জবাবে ১৫৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন প্রজ্ঞান ওঝা।

২য় টি-টোয়েন্টি
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ২০১৪ বিশ্বকাপের দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় ভারত-বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আট উইকেটে জয় পায় ভারত। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৩৮ রান। এক সময় ২১ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল, শামসুর রহমান শুভ ও সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান এনামুল-মাহমুদুল্লাহ লড়াইয়ে ফেরান।

১৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শিখর ধাওয়ানকে দ্রুত হারায় ভারত। এরপর রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ৫৬ করে ফেরেন রোহিত। অধিনায়ক ধোনি চারে নেমে ১২ বলে ২২ করে জেতান দলকে। ৫০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ১৫ রানে দুই উইকেটের জন্য ম্যাচের সেরা হন অশ্বিন।

৩য় টি-টোয়েন্টি
২০১৬ এশিয়া কাপে তৃতীয়বার মুখোমুখি হয়ে ৪৫ রানে জিতেছিল ভারত। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ৮৩ রানের সুবাদে ভারত ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৬ রান। ১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাত উইকেট খুইয়ে ১২১ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। ২৩ রানে তিন উইকেট নেন আশিস নেহরা। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।

৪র্থ টি-টোয়েন্টি
মিরপুরে ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনালের এই ম্যাচটি ছিল চতুর্থবারের দেখা। এই ম্যাচটি কমিয়ে আনতে হয়েছিল ১৫ ওভারে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২০ রান। জবাবে ১৩.৫ ওভারে জিতে যায় ভারত (১২২-২)। শিখর ধাওয়ান (৬০), বিরাট কোহলি (অপরাজিত ৪১) রান করেন। জয় আসে আট উইকেটে। ম্যাচের সেরা হন ধাওয়ান।

৫ম টি-টোয়েন্টি
পঞ্চমবার দেখা হয় ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শ্বাসরূদ্ধকর এই ম্যাচে ১ রানে জেতে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তোলে ভারত। সর্বোচ্চ ৩০ করেন সুরেশ রায়না। রোহিত (১৮), ধাওয়ান (২৩), কোহলি (২৪), হার্দিক (১৫), ধোনি (১৩), যুবরাজ (৩), জাদেজা (১২)- কেউই বড় রান পাননি। মোস্তাফিজ নেন দুই উইকেট।

১৪৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১৪৫ রানে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। শেষ তিন বলে দরকার ছিল ২ রানের; কিন্তু মুশফিকুর রহীম আউট হয়ে যেতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। পরের বলে আউট মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে মোস্তাফিজকে রান আউট করেন ধোনি। ভারত জেতে এক রানে।

৬ষ্ঠ টি-টোয়েন্টি
৬ষ্ঠবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে ছয় উইকেটে বাংলাদেশকে হারায় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ আট উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৯। জয়দেব উনাড়কট নেন তিন উইকেট। জবাবে ১৮.৪ ওভারে জিতে যায় ভারত (১৪০-৪)। ধাওয়ান করেন ৫৫।

৭ম টি-টোয়েন্টি
ওই একই সিরিজেই ৭ম বার মুখোমুখ। আবারও বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারায় ভারত। আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেটে ১৭৬ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক রোহিত (৮৯), রায়না (৪৭) রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৯ রান। ২২ রানে তিন উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ম্যাচের সেরা হন রোহিত।

৮ম টি-টোয়েন্টি
সেই একই সিরিজের ফাইনালে আবারও মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ। এটা ছিল অষ্টম ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সাব্বির রহমান ৫০ বলে করেন ৭৭। লেগ স্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল ১৮ রানে নেন তিন উইকেট। ৩৩ রানে দুই উইকেট নেন উনাড়কট। ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩২ রানের মধ্যে ধাওয়ান-রায়নাকে হারায় ভারত।

নিয়মিত উইকেট হারানোয় চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ১২ রান। আর এই পরিস্থিতিতেই পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন দীনেশ কার্তিক। আট বলে ২৯ রানে অপরাজিত থেকে জেতান তিনি। জয় আসে শেষ বলে। ছয় উইকেটে জেতে ভারত (১৬৮-৪)।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।