বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট | 324 বার পঠিত
ভারত থেকে জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে ২০২০ সালের জন্য ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে সরকার। এ জন্য খরচ হবে ৩১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি কমিটি কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিম বেগম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার টু সরকার ভিত্তিতে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ২০২০ সালের জন্য ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এ জন্য ব্যয় হবে ৩১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ে বিপিসি ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে। আজকের বৈঠকে এ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন নিয়েছে বিপিসি। আগামীতে জুলাই থেকে ডিসেম্বরের জন্য আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি ব্যারেলের প্রিমিয়াম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
সূত্র জানায়, বিপিসি প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়াদি চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০২০ সালের পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গতবছর ১৩ নভেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশপ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল আমদানির বিষয়ে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিপিসি ও এনআরএলের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাইপ লাইন স্থাপন/নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাইপ লাইন স্থাপন/নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত প্রিমিয়ামে (মার্কিন ডলার ৫দশমিক ৫০/ব্যারেল) রেল ওয়াগনের মাধ্যমে পার্বতীপুর ডিপোতে ২০১৬ সাল থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করা হচ্ছে।
এনআরএল থেকে পার্বতীপুরে ডিজেল গ্রহণ করার ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের মধ্যে ডিজেল প্রাপ্তি ও পরিবহন খরচ সাশ্রয় হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়াগন স্বল্পতার কারণে প্রধান স্থাপনা চট্টগ্রাম/দৌলতপুর ডিপো থেকে পার্বতীপুর ডিপো অঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী ডিজেল সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। ফলে এনআরএল থেকে আমদনিকৃত ডিজেল দিয়ে পার্বতীপুর ডিপো অঞ্চলের চাহিদাপূরণসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ডিজেল সরবরাহ নিশ্চিত করা সহজ হচ্ছে।
Posted ৩:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed