বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর মার্কেট-শপিংমলে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে

বিবিএনিউজ.নেট   |   শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০   |   প্রিন্ট   |   238 বার পঠিত

রাজধানীর মার্কেট-শপিংমলে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে

মহামারি করোনাভাইরাসের ভীতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। নগরীর ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে ছোট বড় বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে ভিড় বাড়ছে আগের তুলনায়। এখন পর্যন্ত গণপরিবহনে যাত্রী কম হলেও অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াত ক্রমেই বাড়ছে।

শুক্রবার নিউমার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও এলিফ্যান্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট বড় মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে অসংখ্য ক্রেতা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে মার্কেটে এসেছেন। ক্রেতাদের উপস্থিতিতে বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফুটেছে।

একাধিক দোকানি জানান, গত ১ জুন থেকে মার্কেট খোলা থাকলেও মূলত এ মাসের শুরু থেকে তুলনামূলকভাবে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে। আজ যারা মার্কেটে আসছেন তারা কেনাকাটা করতে আসছেন। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।

বড় বড় মার্কেট ও শপিংমলের প্রবেশপথে জ্বর পরিমাপক যন্ত্র এবং জীবাণুনাশক টানেলের ব্যবস্থা থাকলেও ফুটপাতে এসবের বালাই নেই। অধিকাংশ ক্রেতা এবং বিক্রেতার মুখে মাস্ক পরিধান করতে দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। তবে কাউকে কাউকে আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়।

স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে আসেন লালবাগের বাসিন্দা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, গরমের মধ্যেও দোকানিরা এসি চালাচ্ছেন না। একদিকে বেচাকেনা কম হওয়া অপরদিকে এসির বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, তাই এসি চালাচ্ছেন না বলে অনেক দোকানি তাকে জানান।

এলিফ্যান্ট রোড এলাকার জুতার দোকান মালিক সোহেল রহমান জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার ক্রেতার ভিড় বেশি থাকে। বেচাকেনা যাই হোক করোনা ভীতি কাটিয়ে লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে এতেই তিনি খুশি বলে জানান।

শপিংমলগুলোতে ফুটপাতে বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। ফুটপাতের হকাররা জানান, এই করোনাকালেও নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করতে হচ্ছে। অন্যথায় তাদের ফুটপাতে বসতে দেয়া হয় না।

বিভিন্ন গণপরিবহন বিশেষত বাসে যাত্রী অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। একদিকে ভাড়া বেশি অপরদিকে বাসে উঠলে সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কায় যাত্রীরা সাধারণত কম বাসে উঠছেন। অধিকাংশ যাত্রী রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন।

নীলক্ষেতে বই কিনতে আসেন মগবাজারের বাসিন্দা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী শামসুন্নাহার। প্রয়োজনীয় বইটি কিনে তারা বাসায় ফেরার জন্য রিকশা ঠিক করেন। রিকশায় চড়ার আগে ব্যাগ থেকে স্যানিটাইজার বের করে রিকশার সিটে স্প্রে করে তবেই উঠে বসেন তারা।

আব্দুল লতিফ বলেন, রাস্তাঘাটে এত মানুষের ভিড় দেখে ভয় লাগছে। কখন কার মাধ্যমে কে যে আক্রান্ত হয় বলা মুশকিল। সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে তিনি যেকোনো যানবাহনে উঠার সময় নিজের কাছে থাকা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নেন।

আব্দুল লতিফের মতো খুব কম লোকই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করছেন। অধিকাংশ মানুষই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।