রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড সময়ে করোনার কিট বানিয়ে বিজ্ঞানীর সন্তান প্রসব

বিবিএনিউজ.নেট   |   শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০   |   প্রিন্ট   |   354 বার পঠিত

রেকর্ড সময়ে করোনার কিট বানিয়ে বিজ্ঞানীর সন্তান প্রসব

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কোনো কিট শতভাগ নির্ভুল ফল পাওয়ার সাফল্য দেখিয়েছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের মাইল্যাব ডিসকোভারির গবেষণা ও উন্নয়ন প্রধান দাখেভে ভোঁসলে। তিনি একজন ভাইরোলজিস্ট এবং ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন।

প্রথম ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাইল্যাব করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কিট বানিয়ে বাজারজাত করার অনুমতি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাদের কিট বাজারে পৌঁছে গেছে। প্রথম চালানে প্রতিষ্ঠানটি পুনে, মুম্বাই, দিল্লি, গোয়া ও বেঙ্গালুরুতে ১৫০টি কিট পাঠিয়েছে।

মাইল্যাবের চিকিৎসা–বিষয়ক পরিচালক গৌতম ওংকারে গতকাল শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি এবং অন্যান্য অসুখের পরীক্ষার জন্য কিট বানিয়ে থাকে। তারা এক সপ্তাহে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারবে। প্রয়োজন হলে সপ্তাহে দুই লাখ কিট দেওয়ার সক্ষমতা তাদের আছে। মাইল্যাবের একেকটি কিট দিয়ে ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। একেকটি কিটের দাম পড়বে ১২০০ রুপি। ভারত এমন একেকটি কিট বিদেশ থেকে ৪৫০০ রুপি দিয়ে কিনেছে। সেই হিসেবে মাইল্যাবের কিট সাশ্রয়ী।

বিজ্ঞানী মিনাল ভোসলে বলেন, তাদের কিট দিয়ে আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ফল পাওয়া সম্ভব। আমদানি করা কিটগুলো দিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করে ফল পেতে ছয়–সাত ঘণ্টা লাগছে। কীভাবে তিনি ও তার দল এই কিট উৎপাদনে সাফল্য পেলেন তার বর্ণনা দিলেন। তার ভাষায়, এমন কিট বানাতে সাধারণত তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যায়। কিন্তু তারা এটা রেকর্ড সময়ে করেছেন। এটি তৈরিতে সময় লেগেছে মাত্র দেড় মাস।

এই তাড়ার পেছনে ছিল মিনালের ব্যক্তিগত একটি কারণও। তিনি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। এই মাসেই তার সন্তান জন্ম দেওয়ার তারিখ ছিল। তিনি চাইছিলেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই কাজটি শেষ করতে। গত ফেব্রুয়ারিতে তারা কাজ শুরু করেন। দেড় মাসের মধ্যেই সাফল্য পান।

সাফল্যের বিষয়ে এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘একটা জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলো। আমি এই সময়ে দেশের জন্য কিছু করার চ্যালেঞ্জটা নিলাম। আমাদের ১০ জনের দলটি কঠোর পরিশ্রম করেছে এই সাফল্য পেতে।’ ১৮ মার্চ তিনি কিটটি পর্যালোচনা করার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে (এনআইভি) জমা দেন। পরের দিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে বাণিজ্যিক অনুমোদনের জন্য লিখিত প্রস্তাব পাঠান তিনি। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে অস্ত্রোপচারে তাঁর কন্যা সন্তান হয়। আর যে কিটের জন্য এতটা পরিশ্রম করেছেন, সেটিও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে গেছে। তা দিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।