নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 478 বার পঠিত
র্যাপিড টেস্ট কিটের ব্যাপারে বিদেশ থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) গণস্বাস্থ্যের কিটের মান পরীক্ষা করে দেখার আগ্রহ দেখিয়েছে।এ লক্ষ্যে সিডিসি গণস্বাস্থ্যের কাছে ৮০০ কিট চেয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া দেশিয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার (বিএমআরসি) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কিট ও প্রয়োজনীয় তথ্য হস্তান্তর করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
উল্লেখ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ কিটের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে অল্প খরচে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকার মুখে গণস্বাস্থ্যের এই উদ্ভাবন সবার মধ্যে নতুন আশা জাগায়। কারণ করোনা মোকাবেলায় শনাক্তকরণ পরীক্ষা খুবই জরুরি হলেও দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পরীক্ষা হচ্ছে না। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে পরীক্ষার সবচেয়ে কম। গণস্বাস্থ্যের কিটটি উন্মুক্ত করা গেলে এই সঙ্কট অনেকটাই কেটে যেতো। তাছাড়া বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রাও বেঁচে যেত দেশের।কারণ বর্তমানে পিসিআর পদ্ধতির কিটের মূল্য অনেক বেশি।গণস্বাস্থ্যের কিটের মূল্য যেখানে ৩শ টাকার কম, সেখানে পিসিআর মেশিনের কিট আমদানি করতে হচ্ছে প্রতি ৬ হাজার টাকার বেশি দাম দিয়ে। তা-ও গণস্বাস্থ্যের কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দেওয়ার পর এই দাম কমিয়েছে সরবরাহকারীরা।তার আগে এই কিট তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা করে কিনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদন নিয়ে কয়েক দিন ধরে সরকার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টানাপোড়েন চলছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযোগ, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কিটের ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করছে না। তারা চেয়েছেন, সরকার এই কিটের মান পরীক্ষা করে দেখুক। এটি সফল প্রমাণিত হলে তারা ব্যাবহারের অনুমতি দিক। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন রহস্যময় কারণে কিটের মান পরীক্ষা করেই দেখতে রাজি হচ্ছে না। অন্যদকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দাবি করেছে, র্যাপিড কিট নির্ভরযোগ্য নয়। তাই এ বিষয়ে সরকার শুরু থেকেই সতর্ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা র্যাপিড কিট ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। সরকারও র্যাপিড কিট ব্যবহারের অনুমতি দিতে চাইছে না। অন্য অনেক দেশ র্যাপিড কিট ব্যবহার শুরু করেও পরে বাতিল করেছে। কিন্তু অন্য দেশের কিট মান উত্তীর্ণ হয়নি বলে গণস্বাস্থ্যের কিটও উত্তীর্ণ হবে না এমন নিশ্চয়তা কীভাবে পেয়েছে তারা ঔষধ প্রশাসন সে বিষয়ে মুখ খুলেনি।
বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার হন্যে হয়ে একটি নির্ভরযোগ্য র্যাপিড টেস্ট কিট খুঁজছে। কারণ দেশটি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্য (ঝঃধঃব) লকডাউন থেকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা ভাবছে। কোনো ভ্যাকসিন আবিস্কার হওয়ার আগে লকডাউন তুলে নেওয়া হলে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। এই ঝুঁকি কমানোর একটি উপায় হচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে প্রত্যেক মানুষের করোনা পরীক্ষা করা।
Posted ২:৪০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan