শনিবার ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর আগের মতোই

বিবিএনিউজ.নেট   |   সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   422 বার পঠিত

সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর আগের মতোই

সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিরূপ সমালোচনা এবং স্বল্প আয়ের মানুষের উদ্বেগ উপেক্ষা করে, সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশের প্রস্তাব রেখেই গত ২৯ জুন, অর্থবিল ২০১৯ পাস হয়।

তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সোমবার বলেছেন, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর ৫ শতাংশই কাটা হবে।

সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রে করের বিষয়টি এবারের বাজেটেই পাস হয়েছে। প্রথমে পেনশনারদের জন্যই সঞ্চয়পত্রের বিষয়টি আসে। এরপর এটির বিস্তৃতি ঘটে। তবে বিস্তৃতির পর এ ক্ষেত্রে অপব্যবহার বেড়ে গেছে। এর ফলে সঞ্চয়পত্রের সুবিধা গরিব ও পেনশনারদের পরিবর্তে পাচ্ছে ধনিরা।’

তিনি বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রে পেনশনারদের ক্ষেত্রে বাজেটের আগেও যে সুবিধা ছিল, এখনও সেটা বলবৎ থাকবে। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সব ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ। এ জন্য খুব শিগগির এনবিআর এসআরও জারি করবে। এটির কার্যকারিতা ১ জুলাই থেকেই ধরা হবে। ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে উৎসে হবে ১০ শতাংশ।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারী, যারা অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে না, তারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করুক, এটা আমরা চাই। কিন্তু এখানে অপব্যবহার হচ্ছে। তাই আমরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের বিষয়টিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে চায়।’

৫ লাখ টাকার পরিমাণটা অনেক কম হয়ে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের বিকল্প হিসেবে আমরা বন্ড মার্কেট নিয়ে আসব। ইন্ডিয়াতে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ বেশি। বন্ড মার্কেটটা চালু করতে পারলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীসহ সবাই এতে বিনিয়োগ করে একটা নির্দিষ্ট মুনাফা পাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অপব্যবহার হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি চাই মানুষ বন্ড মার্কেটে বেশি বেশি বিনিয়োগ করুক। বন্ড মার্কেটের অর্থ বছরে হাজারবার লেনদেন হয়। এ ক্ষেত্রে অর্থনীতি আরও বড় হবে। কিন্তু সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে টাকা এক জায়গায় থেকে যায়। এখন পেনশনাররা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন। তবে একটা সময় আসবে তারা নিজেরাই অর্থ সঞ্চয়পত্রে রাখবে না। কারণ তাদের অন্য জায়গায় বেটার অফার দেয়া হবে।’

এক প্রশ্নে জাবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না যে, মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করুক। আমরা চাই তারা ব্যাংকে বিনিয়োগ করুক। যেখানে বিনিয়োগ করলে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, আমরা সেখানেই বিনিয়োগ নিয়ে যেতে চাই। আর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে স্বচ্ছতা থাকে না। আমরাতো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। আমরা এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ডাটাবেজ তৈরি করেছি। ডাটাবেজ দেখে নিশ্চিত হবো- কে কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

আগে যারা বিভিন্নভাবে সঞ্চয়পত্রে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, তাদের জন্য কোনো শাস্তি কি দেয়া হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না, এমন কোনো আইন ছিলে না, তাহেল কীভাবে তাদের আমরা শাস্তি দেব। তবে এ ক্ষেত্রে তারা ধরা পড়বে অন্য আইনে। এত টাকা পেল কই? এ জন্য তারা দুদকের জালে ধরা পড়বে।’

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৩৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11188 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।