বিবিএ নিউজ.নেট | রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 141 বার পঠিত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র একদিনেই বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এদিন দরপতন হয়েছে ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে দেড়শ পয়েন্টের ওপরে।
শেয়ারবাজারে এই দরপতনের কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বড় বিনিয়োগকারীরা আটকে রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অনেক বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে সার্বিক বাজারে লেনদেনের গতি কমেছে। এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের দরপতনকে আরও ত্বরান্বিত করে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামের পাশে লাল চিহ্ন দেখা যায়, অর্থাৎ দরপতন হয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে লাল চিহ্নের সংখ্যা। লাল ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে ছুটে চলার মতো ছিল পুরো লেনদেন সময়। ফলে দিন শেষে ভয়াবহ দপতনের দেখা মেলে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পারে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। চারটির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬৩ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ২৮ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৫০ কোটি ২৮ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩৪ কোটি টাকা। এই পতনের মধ্যে পড়ে একদিনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৯০ পয়েন্ট। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৪টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেয়াবাজারের এই দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব না থাকলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন কম দামে ভালো শেয়ার কীভাবে কেনা যায়। তবে বাজার তার আপন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াবে।
Posted ৭:২৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy