বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট | 321 বার পঠিত
দুইদিনের পাখি শুমারিতে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের উদ্যোগে গত ২৮-২৯ জানুয়ারি হাকালুকি হাওড়ের ৪০টি বিলে জলচর পাখি শুমারি করা হয়েছে।
শুমারিতে অংশগ্রহণ করেন ড. পল থমসন, ইনাম আল হক, ওমর শাহাদাত, শাহেদ ফেরদৌস, শফিকুর রহমান ও তারেক অণু। এ সময় সর্বমোট ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের দেয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, এ বছর পাখির সংখ্যা ২০১৯ এর চেয়ে সামান্য বেশি এবং ২০১৮ ও ২০১৭ এর চেয়ে কম। ২০১৯ সালে হাকালুকিতে ৩৭ হাজার ৯৩১টি পাখির দেখা মিলে। এর আগে ২০১৮ সালে ৪৫ হাজার ১০০টি এবং ২০১৭ সালে ৫৮ হাজার ২৮১ টি পাখির দেখা মিলে পাখি শুমারিতে।
তবে আশার কথা হচ্ছে এ বছর হুমকির মুখে আছে এমন ছয় প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে। তার মধ্যে মহাবিপন্ন বেয়ারের ভুতিহাঁস। সংকটাপন্ন পাতি ভুতিহাঁস এবং প্রায় সংকটাপন্ন মরচেরঙ ভুতিহাঁস, ফুলুরি হাঁস ও কালামাথা কাস্তেচরা, উত্তুরে টিটি, উদয়ী গয়ার অন্যতম।
হাকালুকির ৪০টি বিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৪৩০টি পাখি পাওয়া গেছে চোকিয়া বিলে। এরপর ৫ হাজার ১৪৭টি পাখি পাওয়া গেছে চ্যাতলা বিলে। এরপরে ফুটবিলে ৪ হাজার ৯৮৩টি পাখি ও বালিয়াজুরি বিলে ৩ হাজার ৩০৫ টি পাখি পাওয়া গেছে।
তবে এর পাশাপাশি হাওড়খালে বিলে বিষটোপ দিয়ে মারা পাখি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহ সভাপতি তারেক অণু।
তারেক অণু জানান, দুই দিনব্যাপী হাকালুকি হাওড়ের ৪০টি বিলে পাখিশুমারি চলে। বিলগুলো হচ্ছে- হাওয়াবন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা ও গোয়ালজুড় ।
Posted ৩:৪৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed