| বৃহস্পতিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট | 78 বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি:
নগদ ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) শরীয়তপুরের উপ-ব্যবস্থাপক মনির হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) শরীয়তপুরে তার নিজ কার্যালয় থেকে ঘুষের টাকা গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান তদারকিকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সচিব বলেন, বিসিক শিল্পনগরী শরীয়তপুরের মেসার্স ঢালী মিনারেল ওয়াটারের নাম ও উপখাত পরিবর্তনের জন্য আবেদনটি বিসিক চেয়ারম্যানের অফিসে পাঠানোর জন্য অনৈতিকভাবে উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঘুষ দাবি করেন। দাবি করা ঘুষের ৫০ হাজার টাকা গ্রহণের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, বিসিক শিল্পনগরী শরীয়তপুরের মেসার্স ঢালী মিনারেল ওয়াটারের প্লট নং এ-০৭ জমির পরিমাণ ৪৫০০ বর্গফুট প্লটটি বাতিল করা হলে বিসিক প্লট বরাদ্দ নীতিমালা ২০১০ অনুযায়ী প্লট বাতিল আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য বিসিক চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন করা হয়। আম-মোক্তারনামামুলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এসকেন্দার ঢালী মেসার্স ঢালী মিনারেল ওয়াটারের নাম ও উপখাত পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়।
আবেদনটি উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেন বিসিক চেয়ারম্যানের অফিসে পাঠানোর জন্য অনৈতিকভাবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঘুষ দাবি করেন। এর মধ্যে ঘুষের ৫০ হাজার গ্রহণের সময় হাতেনাতে আটক করে দুদকের একটি টিম।
দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান তদারকিকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে গত ৪ এপ্রিল ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে উপ-কর কমিশনার মুহিবুল ইসলাম ভুইয়াকে গ্রেফতার করেছে দুদক। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুদক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
দুদক বলছে, রাজশাহী জেলা কার্যালয় ফাঁদ পেতে মুহিবুল ইসলামকে হাতেনাতে ধরেছে। রাজশাহীর বোয়ালীয়া থানার উপশহর হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। রাজশাহীর সার্কেল-১৩-এর হেলানাবাদ এলাকার কর ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়।
অভিযোগের বিবরণে বলা হয়, উপ কর কমিশনার মুহিবুল ইসলাম স্বল্প কর নির্ধারণের অভিযোগ হতে অব্যাহতি প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযোগকারীর কাছে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের অগ্রিম হিসেবে ১০ লাখ টাকা গ্রহণের সময় তাকে ধরা হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন রাজশাহী দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বায়েজীদ। বর্তমানে উপ কর কমিশনার মুহিবুল ইসলাম কারাগারে আছেন।
Posted ৪:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy