বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭০ শতাংশ আইপিও কোটা বরাদ্দ রেখে পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১   |   প্রিন্ট   |   438 বার পঠিত

৭০ শতাংশ আইপিও কোটা বরাদ্দ রেখে পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধন

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ আইপিও কোটা বরাদ্দ রেখে পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধন করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শিগগিরই সংশোধিত আইনটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, সংশোধিত আইনে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ১০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ থাকবে। অন্যদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ আইপিও কোটা বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া প্রবাসীদের জন্য ৫ শতাংশসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখা হবে।

এদিকে আইপিও আবেদনকারী কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ভিত্তিতে শেয়ার ছাড়ার পদ্ধতি আরোপ করতে যাচ্ছে কমিশন। আইপিও পরবর্তী যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নীত হবে, সেসব কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এ ছাড়া আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা হবে, সেসব কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধনের অন্তত ২০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। আর আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হবে, আইপিওতে সেসব কোম্পানিকে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

জানা যায়, ফিক্সড প্রাইস বা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে অর্থ সংগ্রহ করতে চাইলে তার ১৫% এর বেশি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট করা যাবে না। অর্থাৎ যদি একটি কোম্পানি আইপিওতে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়, তার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭.৫০ কোটি টাকার শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করা যাবে। যেসব শেয়ার ইস্যুয়ার তার পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্যু করতে পারবে। যা শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগে অন্যদের সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে এই শেয়ার লক-ইন থাকবে।

এক্ষেত্রে আইপিওতে আসা কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ার ১ বছর ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টের শেয়ার ২ বছরের লক-ইন থাকবে।

এদিকে কোম্পানির মুনাফার স্বচ্ছতা আনার জন্য ভ্য্টা চালান ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। আইপিও আবেদনে কোম্পানিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ভ্যাট চালান সংগ্রহ করে, তার সার্টিফায়েড কপি কমিশনে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে ভ্যাট চালান ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যাচাই করবে কমিশন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৫২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।