বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 484 বার পঠিত
প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের চেয়ে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে খেলাপি ঋণের হার তুলনামূলক কম। সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রচলিত ব্যাংকিংয়ে গড়ে খেলাপি ঋণের হার ১০.৩০ শতাংশ; সেখানে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে ৪.৭৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪.২ শতাংশ, সেখানে প্রচলিত ব্যাংকিংয়ে ছিল ৯.৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ইসলামিক ব্যাংকিং বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটরিয়ামে ‘ইসলামিক ব্যাংকিং অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় এ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয়। এর উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী এবং এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। সব ধরনের কমপ্লায়েন্স বজায় রেখে এবং শরিয়াহর মূল নীতি বজায় রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সব ইসলামিক ব্যাংক বা শাখায় শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে শরিয়াহ বোর্ড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে পরিসর অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দক্ষ জনবল না থাকায় সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিশেষ সার্টিফিকেশন কোর্স চালু করতে হবে যেখানে ব্যাংকারদের ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এসব সার্টিফিকেটধারী অভিজ্ঞ ব্যাংকার পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ পাবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং সর্বজনীন ব্যাংকিং। পুরো বিশ্বে ইসলামী ব্যাংকিং সমাদৃত। ইসলামী ব্যাংকিং হলো সম্পদভিত্তিক অর্থনীতি। সেন্ট্রাল শরিয়াহ কাউন্সিল মেনে নিয়ে ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনা করতে হবে। আরো নতুন নতুন পণ্য এনে গ্রাহকদের কাছে আরো জনপ্রিয় করার সুযোগ রয়েছে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং এখন ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ নেই। অনেক বিদেশি ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে সাফল্য পেয়েছে। সুতরাং দক্ষতার সঙ্গে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের সুযোগ রয়েছে।
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শরিয়াহ পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। এখানে আংশিক পরিপালনের সুযোগ নেই। ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন তিনি।
Posted ১২:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed