বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০১৯ | প্রিন্ট | 544 বার পঠিত
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভ্যাট নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই বলে সম্প্রতি এক চিঠিতে জানিয়েছে এনবিআর। ফলে ভ্যাট নিবন্ধন না থাকায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিটিআরসির কাছে ভ্যাট পরিশোধে দীর্ঘদিন থেকে যে আপত্তি ছিল তা এখন আর তার সুযোগ থাকছে না।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান জানান, আগে ভ্যাট নিবন্ধন সার্টিফিকেট সংক্রান্ত যে জটিলতা তৈরি
হয়েছিল সেটি এখন নিরসন হলো। মোবাইল ফোন অপারেটররা যে রেভিনিউ শেয়ার করে থাকে তা এখন নিশ্চিন্তে বিটিআরসিতে জমা দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, এনবিআরের এ ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্তে এখন বছর বছর সরকারের বিভিন্ন পাওনা ভ্যাটসহ বিটিআরসিকে যেভাবে পরিশোধ করে আসছে মোবাইল ফোন অপারেটররা তা সেভাবেই করতে পারবে। জটিলতা নিষ্পত্তিকালীন অপারেটররা ভ্যাট ছাড়া চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের যে রাজস্ব জমা দিয়েছে এখন সরকারের সেই পাওনাও পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে বিটিআরসির ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরদের মতপার্থক্য এমন জটিল আকার ধারণ করে যে, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পর্যন্ত যায়। এ নিয়ে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক বৈঠকে সজীব ওয়াজেদ জয় বিটিআরসিকে সাত দিনের মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধন করতে বলেছিলেন। তখন ওই বৈঠকে এনবিআর প্রতিনিধিকেও ডেকে আনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিভাগটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রতিনিধিরা।
ভ্যাট পরিশোধ নিয়ে জটিলতার কারণে গত ১০ জুলাই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের রাজস্ব জমা দিতে গিয়েও পারেনি। অপারেটরগুলো ওইদিন তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিলে-জুন) বিভিন্ন পাওনা যেমন- রাজস্বের অংশ, সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা তহবিল ও বাৎসরিক তরঙ্গ ফি পরিশোধ করতে গিয়েছিল। পরে জটিলতা ‘নিষ্পত্তিকালীন’ ভ্যাট ছাড়াই এসব পাওনা বিটিআরসিতে জমা দেয় তারা। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এসএম ফরহাদ তখন জানিয়েছিলেন, ১ জুলাই থেকে কার্যকর বর্তমান মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন (মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২) অনুযায়ী অর্থ আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের মূসক নিবন্ধন থাকার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে। তাই বিটিআরসির মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন না করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ কারণেই ভ্যাটের টাকা বিটিআরসিতে দিতে চান না তারা।
Posted ১:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed