নিজস্ব প্রতিবেদক: | রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 504 বার পঠিত
করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে গৃহীত লকডাউন পদক্ষেপে কেউ না খেয়ে নেই, এমনটাই বলেছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এই পদক্ষেপে দরিদ্র এবং শ্রমজীবীরা সমস্যায় বেশি পড়লেও কেউ না খেয়ে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এর সাম্প্রতিক একটি জরিপের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সবসময় খোঁজ-খবর নিচ্ছি, বরাদ্দের কত অংশ কোথায় কীভাবে বণ্টন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও এমন রিপোর্ট পাইনি যে, কারও ঘরে খাবার নেই। দেশব্যাপী দরিদ্র এমনকি মধ্যবিত্তদের ঘরেও খাবার ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। আগামী তিন মাস পর্যন্ত এভাবে খাদ্যসহায়তা দেয়ার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। এরপরও যদি সংকট দেখা যায় তাহলেও তা মোকাবিলা করার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে এবং আমরা বিনামূল্যে খাদ্য দিতে পারব।
ছুটি ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ছয়দিন খাবার বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া এটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ পর্যন্ত সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল এবং ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্যের জন্য তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে নিম্নআয়, কর্মহীন এমনকি মধ্যবিত্তদের মাঝেও তা বিতরণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ব্র্যাক জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার পরামর্শ মানতে গিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় বেড়েছে ৬০ শতাংশ এবং ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে খাবারই নেই। গত ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে পরিচালিত দুই হাজার ৬৭৫ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সমীক্ষা চালিয়ে এমন তথ্য পায় সংস্থাটি।
ব্র্যাকের এ তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে ড. এনাম বলেন, দেশে খাদ্যসংকট আসতে পারে এটা ছুটি ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করেছিলেন। করণীয় নির্ধারণে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকও করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব মানুষ দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল তারা কর্মহীন হয়ে যাবে। তাই তাদের খাদ্য এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিশ্চয়তা দিতে হবে। একজন মানুষও যেন অনাহারে না থাকে- তার ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারেই সবকিছু চলছে।
Posted ১:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy