নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 437 বার পঠিত
বিএসইসির নির্দেশ অনুযায়ী ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থতার কারণে পুঁজিবাজারে ১০ কোম্পানির ১৭ পরিচালকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী রোববার এই সংক্রান্ত একটি আদেশ আসতে বলে পারে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার জন চিঠি দেয় কমিশন। এর মধ্যে ২৫ জন পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। বাকীদের মধ্যে ১৮ জন পরিচালক নিজেরাই কোম্পানি পর্ষদ থেকে চলে গেছে। আর ১০ কোম্পানির ১৭ পরিচালক এখনো পর্ষদে আছেন। তাদের পথ বাতিল করতে যাচ্ছে বিএসইসি। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই ১৭ পরিচালকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আদেশটি জারি করার জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান পদ বাতিলের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। তবে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করলেও এখনো বিষয়টি ইস্যু করা হয় নাই।
যেসব পরিচালকের পদ বাতিল হচ্ছে তারা হলেন- বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক সোহাইল হুমায়ুন, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক পাইওনিয়ার ড্রেসেস লিমিটেড, ফুয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রেজের পরিচালক হাসিনা ওপনেহ্যাপ। ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. লোকমান চৌধুরী, ইনেটক লিমিটেডের পরিচালক এটিএম হাবিবুল আলম,সাদিকা মাহবুব,আনিসুজ্জামান, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের পরিচালক শারমিন নাসির এবং দিলরুবা শারিমন। মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের পরিচালক শফিক আহেমদ, আজাদ মোস্তফা, আজিজ মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ, ফারহানা ইসলাম সোনিয়া এবং সাদ কাদির বিন সোলাইমান, প্রভাতি ইন্সুরেন্সের পরিচালক হাবিব ই আলম চৌধুরী এবং বদলুর রহমান খান। পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্সের উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, ইউনাইটেড এয়ারের পরিচালক শাহিনুর আলম।
এর আগে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২ জুলাই ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাদকতা নিয়ে সার্ক্যুলার জারি করে। সময় দেওয়া হয় ৪৫ দিন। এই সময় শেষ হয়েছে গত রোববার। ইতোমধ্যে অনেক পরিচালক আইনটি পরিপালন করেছে। যারা করেনি তাদের পরিচালক পদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে নূন্যতম শেয়ার ধারণ নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে। তবে এই নির্দেশনা থেকে স্বতন্ত্র পরিচালরা বাদ থাকবে।
উল্লেখ, ২০০৯-১০ সালে শেয়ার কারসাজির পর ভয়াবহ দরপতনের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ও সম্মিলিতভাবে নূন্যতম শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, কোম্পানি পরিচালনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন করা।
ওই নির্দেশনায় পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এককভাবে কমপক্ষে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল বিএসইসি। এ ছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার শর্ত দেয়। গত আট বছরে অনেক পরিচালক ও কোম্পানি এ শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এ নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই ৪ কোম্পানির ১৪ জন পরিচালক আদালতে রিট করেন। আর শেষ পর্যন্ত পরিচালকদের রিট খারিজ করে বিএসইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে আদালত।
Posted ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan