| শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট | 545 বার পঠিত
আর্থিক খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছে তাদের মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের তালিকা চেয়েছে। পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের ই-টিআইএন নাম্বার হালনাগাদ করার অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছে মার্জিন ঋণধারীদের নাম, বিও হিসাবের তথ্য, ইটিআইএন এবং শেয়ারহোল্ডিং পজিশন, প্রযোজ্য ট্যাক্স রেট এবং ২০ মার্চের পূর্বে নেট লভ্যাংশের বিবরণ চেয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য রেকর্ড ডেটের আগে বেনিফিসিয়ারি নাম (ডিপি) ব্যাংক হিসাবের নাম, নম্বর ও রাউটিং নম্বর জমা দিতে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৭৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১৭ পয়সায়। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ছয় টাকা ১৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৩৩ টাকা ৪১ পয়সা। কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা ২৮ মার্চ, ২০১৯ তারিখে সকাল ১০টায় রেডিসন বস্নু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেল, এয়ারপোর্ট রোড, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট আগামী ১২ মার্চ।
আর্থিক খাতের আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ইসু্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি বন্ডের অভিহিত মূল্য হবে ১০ লাখ টাকা। এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
এদিকে গত বুধবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আইডিএলসি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর ৩০ পয়সা বা দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। সর্বশেষ লেনদেন হয় ৬৭ টাকা ২০ পয়সায়। লেনদেন শেষে সর্বশেষ দর হয় ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। ওইদিন শেয়ারটির দর ৬৮ থেকে ৬৭ টাকা ১০ পয়সায় উঠানামা করে। ওইদিন কোম্পানিটির চার লাখ ৮৩ হাজার ৭৩টি শেয়ার ৫৩৩ বার হাতবদল হয়। যার মোট মূল্য তিন কোটি ২৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৮০ টাকা ও সর্বনিম্ন দর ৫৭ টাকা।
সবশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১১ দশমিক ৬৭। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ১০ দশমিক ৯৬। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির ইপিএস ছিল ছয় টাকা ১৩ পয়সা, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ৪১ পয়সায়। মুনাফা হয়েছে ২২৭ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই বছর ইপিএস ছিল সাত টাকা শূন্য আট পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ৩৫ টাকা ৫৬ পয়সা। ওই বছর মুনাফা হয়েছে ১৭৮ কোটি তিন লাখ টাকা।
১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে আসা এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৩৭৭ কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ৭৮০। রিজার্ভে আছে ৭৫৬ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে, ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বিদেশি ও ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
Posted ১:৩৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed