• অর্থনৈতিক সংকটে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

    ব্যাংক বীমা অর্থনীতি ডেস্ক | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ | ১২:২১ অপরাহ্ণ

    অর্থনৈতিক সংকটে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল
    apps

    চিনি বিক্রি না হওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লি. এখন অর্থনৈতিক সংকটের সবর্কালের রেকডর্ ভঙ্গ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে শুধুমাত্র কৃষকের পাওনা এখন প্রায় ১৫ কোটি টাকা। দেশের সবর্বৃহৎ এ চিনিকলটিকে সচল ও টিকিয়ে রাখতে খুব দ্রুত চিনিকলের লাভজনক কারখানার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা এবং চিনি আমদানির ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    চিনিকলের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এ চিনিকলে ১ হাজার ৭শ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করা হয়। এর মধ্যে ৩শ মেট্রিকটন আখ চিনিকলটির নিজস্ব খামারের বাকি ১৪শ মেট্রিকটন আখ চিনিকলটি আখ চাষীদের নিকট থেকে ক্রয় করে থাকে। আর প্রতিদিনের ক্রয় করা আখের দাম ৪৯ লক্ষ টাকা। বতর্মানে আখচাষীরা প্রায় ১ মাস ধরে তাদের আখ বিক্রয়ের টাকা পায়নি। যার পরিমাণ ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। এর আগে মিলটি এমন আথির্ক সংকটে পড়েনি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমর্কর্তার।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    কেশবপুর গ্রামের ইনতাজ আলী, মধুবাড়ী গ্রামের মকবুল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, তারও প্রায় এক মাস আগে মিলে আখ বিক্রয় করেছেন কিন্তু এখন পযর্ন্ত তারা আখের টাকা পাননি। আখের টাকা না পাওয়ায় তারা ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ, শ্রমিকের মজুরি, আখ পরিবহনের গাড়ির ভাড়াসহ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সঠিক সময়ে করতে পারছেন না।

    লালপুরের আখচাষী ইনছার আলী, গৌরীপুরের সাবের আলী, কদিমচিলানের জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক আখচাষীরা জানান, বতর্মানে মোবাইল ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে আখের মূল্য পরিশোধ করায় টাকা উত্তলোন সহজতর হলেও কর্তৃপক্ষের টাকা পরিশোধে বিলম্বের কারণে আখচাষীরা বিড়ম্বনায় পড়ছে। তারা আরও জানায়, আখের টাকা প্রতিদিন পরিশোধের ক্ষেত্রে বতর্মানের পদ্ধতি ভালো, কিন্তু পরিশোধে দেরি হলে বতর্মান পদ্ধতিটি খুব কাজে আসে না। আগে মিলে আখের মূল্য পরিশোধে দেরি হলে প্রয়োজনে কমিশনে দিয়ে বিল ভাঙ্গানো যেত কিন্তু এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না।


    কৃষকের আখের দাম পরিশোধের ব্যাপারে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল জানান, দেশে উৎপাদিত আখের চিনির গুণগতমান অন্যান্য চিনি চেয়ে ভালো এবং স্বাস্থ্য সম্মত, আমাদের উৎপাদিত চিনির চাহিদা আছে তবে আমদানি করা সাদা চিনির দাম কম হওয়ায় আমাদের চিনি বিক্রি কম হচ্ছে, বিধায় কৃষকদের সময়মতো আখের মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    রডের দাম বাড়ছে

    ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫১৬
    ১৭১৮১৯২০২১২২২৩
    ২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি