বিবিএনিউজ.নেট | ০৮ এপ্রিল ২০১৯ | ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ
ওয়াশিংটনে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এতে যোগ দিতে গত শনিবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তেল, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন সফরে গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশে তেল, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে মার্কিন বিনিয়োগ আহ্বান করবে ঢাকা। এছাড়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেয়া হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল, প্রতিরক্ষা, সুশাসনসহ বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্ব থাকবে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সমুদ্রে তেল-গ্যাস উত্তোলনে মূলত মার্কিনিদের আহ্বান জানানো হবে। বৈঠকে বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ ও ডুয়িং বিজনেসের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোও তুলে ধরা হবে। আন্তঃসংযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোয় অংশ নেয়ার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেয়া হবে। সেই সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে অংশগ্রহণে পর্যবেক্ষণের বিষয়টি তাদের জানাবে বাংলাদেশ। তবে ব্যবসায়িক যোগাযোগ এবং মানুষের উন্নয়নে এ অঞ্চলের মেরিটাইম সেক্টর বা সামুদ্রিক খাতে দুই দেশের মধ্যে ঐক্য গড়ে ওঠার বার্তা দেবে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে সুশাসন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি, গত সংসদ নির্বাচনসহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে বলেও জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের একাধিক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারি বাধা, পোশাক কর্মীদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে না দেয়া, গুম-খুনসহ একাধিক বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে এ বিষয়ে জবাব দেয়ার প্রস্তুতি রাখছে বাংলাদেশ।
মোমেন-পম্পেও বৈঠক সম্পর্কে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জানান, আসন্ন বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হবে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ঢাকার পক্ষে ওয়াশিংটনের সমর্থন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিগত দিনগুলোয় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সামনে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed