নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 862 বার পঠিত
কাজ পেতে হলে আগে তরুণদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘তরুণদের অনেকে বেকার থাকে, কিন্তু গ্রামে গিয়ে কাজ করতে চায় না। বেশি সচেতন হওয়া গ্রামের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কৃষিতে থাকছে না। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শহরমুখী হচ্ছে। সবার জন্য কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তারা বেকার থাকছে।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিক্যাশের সহযোগিতায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) আয়োজিত ‘২০১৯ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সামিট’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ দেওয়া হলেও সেটা অনেকের পছন্দ হয় না। তাদের চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করাই পছন্দ। কিন্তু তা করলে হবে না। যার যে যোগ্যতা, সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নে আমাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, এখন যা করছি তার চেয়েও বেশি। এর মধ্যে মানবউন্নয়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিশ্বাস করুন, বিগত দিনগুলোতে দেশে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন এসেছে। এজন্য আমাদের মূল লক্ষ্যে ফোকাস থাকতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিল্পের মধ্যে ঢুকছি, গ্রামে শিক্ষা ঢুকছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমরাও প্রযুক্তির মধ্যে ঢুকছি কিন্তু কৃষিতে প্রযুক্তির প্রয়োগ তেমন করা যাচ্ছে না। ফলে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে, এতে একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের কাজ করতে হবে হাতেকলমে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে হবে। সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা এবং সুবিধা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিচ্ছে। যাতে গ্রামে অর্থ প্রবাহ বাড়ে। আমাদের অর্থনীতির বড় অংশ কিছুদিন আগেও ছিল আর্থিক খাতের বাইরে। সরাসরি বিনিময় হতো মানুষের হাতে। নিখুঁত টাকা ঢুকবে, ঘুরবে বেশি, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। এটাকে ত্বরান্বিত করলে আমাদের লাভ হবে বেশি। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে আমরা আইন করে বলছি, গ্রামে শাখা খুলতে হবে। আমাদের এই মুহূর্তে দারিদ্র বিমোচন এবং বৈষম্য দূরীকরণ অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ইউল্যাবের গবেষণা বিভাগ সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজ ল্যান্ড সোসাইটির পরিচালক সাজিদ অমিত। তিনি বলেন, ‘মানুষের সঞ্চয় দিন দিন বাড়ছে। সঞ্চয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগটা কাজে লাগানো যাচ্ছে। এই বিনিয়োগের কারণে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটা ভার্চুয়াল সাইট তৈরি হচ্ছে। এটিই মূল উদ্দেশ্য।’
স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের বিশেষ উপদেষ্টা প্রফেসর ইমরান রহমান। এরপর বিক্যাশের সিইও কামাল কাদির মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ধারণা সম্পর্কে সবার সামনে তুলে ধরেন।
Posted ৪:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed