শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে দেড় কোটি মানুষ

বিবিএনিউজ.নেট   |   শনিবার, ০১ জুন ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   602 বার পঠিত

নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে দেড় কোটি মানুষ

ঈদ মানে ঘরে ফেরার আনন্দ। দৈনন্দিন ব্যস্ততা ভুলে ইট-পাথর-কংক্রিটের এই জঞ্জাল ছেড়ে কিছুটা প্রশান্তির আশায় বাড়ি ফেরা। নিজস্ব নীড়ে আপন মানুষের সান্নিধ্যে বেশ মজার সময় কাটানো হলোই ঈদ-আনন্দ।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদযাত্রায় ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের চার সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ তিন জেলা ছেড়ে যাচ্ছেন এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও জেলার অন্যান্য স্থান থেকে যাবেন এক কোটি ১০ লাখ মানুষ। গাজীপুর থেকে বাড়ি ফিরবেন ২৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। ১১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ যাবেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। বিপুল এ সংখ্যক ঘরমুখী মানুষের ৫৫ শতাংশ সড়কপথে এবং ২৫ শতাংশ নৌপথে যাত্রা করবেন। বাকি ২০ শতাংশ যাবেন রেলপথে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দফতর ও সংগঠনগুলো এ সংক্রান্ত ‘পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ’ সংরক্ষণ না করায় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতি বছর ঈদের আগে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় এবং এতে প্রতিবেদনটিও ‘শতভাগ তথ্যনির্ভর কিংবা বস্তুনিষ্ঠ’ করা সম্ভব হয় না- মন্তব্য জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে’র।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ঈদে আনুমানিক ৫০ শতাংশ মানুষ ঢাকা মহানগরী ছেড়ে যান। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়েন ৩০ শতাংশ মানুষ। এ হিসাবে এবারের ঈদে এক কোটির অধিক মানুষ ঢাকা শহর ছাড়ছেন। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়ছেন ১৯ লাখ ৫০ হাজার ও সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ।

এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ- চার সিটি কর্পোরেশনের বাইরে এ তিন জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরও ২০ লাখ মানুষ ঈদে ঘরমুখী হচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকার ১০ লাখ, গাজীপুরের ছয় লাখ এবং নারায়ণগঞ্জের চার লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে তিন জেলার এক কোটি ৪৭ লাখ (প্রায় দেড় কোটি) মানুষ এবার ঈদযাত্রায় শামিল হচ্ছেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, নৌ ও সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণপরিবহন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিপর্যায়ের গবেষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে বেসরকারি এ সংগঠনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ৮০ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ সড়কপথে এবং ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ নৌপথে ঘরমুখী হবেন। বাকি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষ যাবেন রেলপথে। এ হিসাবে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ৫৫ শতাংশ সড়ক, ২৫ শতাংশ নৌ ও ২০ শতাংশ রেলপথ ব্যবহার করবেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বরাত দিয়ে জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংখ্যা যথাক্রমে এক কোটি ছয় লাখ ২৭ হাজার ১৭ এবং ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৫ জন। দুই কর্পোরেশন মিলিয়ে ঢাকা মহানগরীর মোট জনসংখ্যা এক কোটি ৮১ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ জন এবং সম্মিলিত আয়তন ২৭০ বর্গকিলোমিটার। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী প্রবণতা বাড়ার কারণে গত নয় বছরে রাজধানীর জনসংখ্যা অন্তত দু’কোটি দাঁড়িয়েছে। একই কারণে ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (এনসিসি) জনসংখ্যা বেড়ে যথাক্রমে ৬৫ লাখ ও ২৫ লাখ হয়েছে। সব মিলিয়ে তিন শহরের বর্তমান লোকসংখ্যা দুই কোটি ৯০ লাখ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ঈদে স্বজনদের সান্নিধ্যপ্রত্যাশীরা গত কয়েকদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে ঘরমুখী হতে শুরু করলেও আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। এ যাত্রা চলবে ৫ জুন দুপুর পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ঘরমুখী মানুষের সিংহভাগেরই চাপ পড়ে রাজধানী ঢাকার রেলস্টেশন এবং লঞ্চ ও বাস টার্মিনালগুলোর ওপর। আমাদের সামগ্রিক পরিবহন ব্যবস্থায় মাত্র ছয়দিনে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের চাপ সামাল দেয়ার সক্ষমতা নেই। তাই ঈদযাত্রীদের মোটেও দুর্ভোগ হবে না- এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেন না। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পাশাপাশি সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনার ঝুঁকি তো রয়েছে। তা-ই নিরাপদ ঈদযাত্রার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

আশীষ কুমার দে ‘দুর্ভোগের আশঙ্কার’ কথা বললেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শোনার আশার কথা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মোবাইল কোর্টে ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রা হবে আগের তুলনায় স্বস্তিদায়ক। সড়কে কোথাও যানজট নেই। আশঙ্কাও নেই। তবে আজ থেকে গাড়ির চাপ বাড়বে।’

মন্ত্রী বলেন, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, বিআরটিএ ভিজিলেন্স টিম, মোবাইল কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে যেন ঈদে মানুষ ভালোভাবে বাড়ি যেতে পারেন। সড়কে যাতে যানজট না হয় সেজন্য গাড়ি চালকদের দায়িত্ব বেশি। চালকরা যাতে অধৈর্য না হন, রমজানের সংযম যেন সড়কে গাড়ি চালনার ক্ষেত্রে ধরে রাখেন- সেজন্য মালিকপক্ষের উচিত চালকদের কাউন্সেলিং করা।

শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। প্রথমদিনের যাত্রা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও ‘শঙ্কা’ও দেখা গেছে ঘরমুখী মানুষের মধ্যে। শুক্রবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন কল্যাণপুর, গাবতলী বাস কাউন্টারগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভিড় আরও বাড়তে থাকে। বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট ছোট শিশুদের কাউন্টারে বসে থাকতে দেখা যায়। এদিন গাবতলীতে স্বল্প দূরত্বের মানুষের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস কাউন্টার থেকে সকাল ৮ থেকে ৯টা, বেলা ২ ও ৩টার দিকে বিভিন্ন রুটের বাসযাত্রীদের নিয়ে যথাসময়ে ছেড়েছে বাসগুলো। যাত্রাপথে তেমন কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

গাবতলী হানিফ বাস কাউন্টারে কথা হয় নওগাঁও রুটের যাত্রী শামীম হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে শিকড়ে ফিরছি। সড়ক মেরামত হয়েছে, নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। এবার যানজট নয়, স্বস্তির যাত্রা হবে বলা করা যাচ্ছে। কিন্তু মনের মধ্যে এখনও অতীতের ভোগান্তির প্রভাবটা বেশি। শঙ্কা কাটছে না। না জানি, সড়কে যানজটে পড়ি।’

ঢাকা পিরোজপুর রুটের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রী সুরভী আক্তার বলেন, সকালে মন্ত্রী এসেছিলেন। বলে গেলেন, সড়কে এবার যানজট নেই। স্বস্তির যাত্রা হবে। মন্ত্রী প্রতি বছরই তো বলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যানজটে নাকাল হতে হয়। আশা করছি, এবার মন্ত্রীর কথা মতো যানজট থাকবে না।
এসআর পরিবহনের রংপুরের যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিবার নিয়ে এবার বাড়ি যাচ্ছি। মেয়ের মনে অনেক আনন্দ টের পাচ্ছি। অনেকদিন পর দাদা-দাদির দেখা পাবে। এছাড়া নানার বাড়িও কাছে। শুধু রাস্তায় যানজটটা না হলেই হয়।

ঈদ আসলেই টিকিটপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছা পর্যন্ত পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘরমুখী মানুষদের। এবারও যেন চিরচেনা সেই রূপ। ঈদযাত্রার প্রথম দিন বেশির ভাগ ট্রেন-ই বিলম্বে ছেড়েছে। ফলে ভোগান্তি হলেও তা মেনে ঘরে ফিরছেন মানুষ।

ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে শুক্রবার কমলাপুরে দেখা যায় জনস্রোত। গত ২২ মে যারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছেন তারা আজ ট্রেনযোগে ঢাকা ছাড়ছেন। ভোগান্তির ধারাবাহিকতায় ঈদযাত্রার প্রথমদিনে কমলাপুরে প্রতিটি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের দেখা মেলেনি।

কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্টেশনে পৌঁছায়নি। স্টেশনে ট্রেনের তথ্যের ডিসপ্লেতে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভব্য সময় দেয়া হয় বেলা ২টা ১০ মিনিট। কিন্তু সে সময়ও ট্রেনটি ছাড়তে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।

এছাড়া কমলাপুর থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে তা দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার নির্ধারিত সময় থাকলে ছেড়েছে সকাল সোয়া ৮টায়। সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার সময় থাকলেও ছেড়ে যায় সাড়ে ৭টায়। সকাল ৮টার চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা দেরি করে সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে যায়।

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়তে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। সকাল ৯টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা রংপুর এক্সপ্রেসের। নির্ধারিত সময়ের আগে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী আর দুই সন্তনকে নিয়ে স্টেশনে হজির হন শিহাবুল ইসলাম। বেসরকারি এ চাকরিজীবী বলেন, গত ২২ মে সেহেরি খেয়ে ভোর ৫টায় কমলাপুরে রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ৮ ঘণ্টা পর মেলে টিকিট। যদিও এসি টিকিটের প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তা না পেয়ে সাধারণ টিকিট নিতে হয়। এত ভোগান্তি শেষে টিকিট পেলেও নতুন ভোগান্তি হলো ট্রেনের জন্য অপেক্ষা। আমাদের বলা হয়েছে, পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন ছাড়বে। এত দীর্ঘসময় বাচ্চাদের নিয়ে কি অপেক্ষা করা যায়?

বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, যে ট্রেনগুলো দেরিতে কমলাপুরে পৌঁছাচ্ছে, সেগুলো ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে চেষ্টা করছি, ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখার।

শুক্রবার সকালে ঈদযাত্রা উপলক্ষে যাত্রীদের খোঁজ নিতে কমলাপুর স্টেশনে আসেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তিনি ট্রেন, প্লাটফর্ম ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শুক্রবার সারাদিন কমলাপুর স্টেশন থেকে ৫২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে দেরি হয়েছে চারটির, সবচেয়ে বেশি দেরি হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেসের।

‘ট্রেনটির প্রথমদিনে প্রায় সোয়া সাত ঘণ্টা দেরি হতে পারে। এজন্য আমরা খুবই দুঃখিত। তবে এটা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রংপুর থেকে রংপুর এক্সপ্রেস নামে অন্য একটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসবে। ফলে আজকের এ বিলম্ব আগামীকাল থেকে হবে না।’

শুক্রবার সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। টিকিট বিক্রেতারা জানান, এখনও চাপ বাড়েনি তবে সন্ধ্যা বা রাত-নাগাদ চাপ বাড়তে পারে।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে নয়টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমে যায় চাঁদপুর টার্মিনালে।

বরিশাল টার্মিনাল অনেকটাই ফাঁকা পরিলক্ষিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশালের উদ্দেশে ঢাকা থেকে মাত্র তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বরিশাল রুটে তিনটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘ধারণক্ষমতার চেয়ে বাড়তি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে দেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে সকলকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিএ জানায়, ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ৪৩টি নৌ-রুটে ২১৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে বিশেষ সার্ভিস দেয়ার জন্যও তারা প্রস্তুত। প্রয়োজন মতো লঞ্চ চালু রাখা হবে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:০৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুন ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।