বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 242 বার পঠিত
বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাপে ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে ফের শঙ্কায় দেশের সার্বিক অর্থনীতি। দ্বিতীয় মেয়াদে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব আরো ভয়াবহ হতে পারে। তাই আগে থেকেই অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং সেভাবে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউরোপ-আমেরিকায় ইতোমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। কোনো কোনো দেশে আবারো আরোপ করা হয়েছে লকডাউন। এর সরাসরি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। ইতোমধ্যে ইউরোপের ক্রেতারা খুবই প্রয়োজনের বাইরে নতুন করে অর্ডার দিচ্ছে না- এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
অনেকে মনে করছেন, ইউরোপ-আমেরিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। এ কারণে এসব দেশে আবারো লকডাউন করা হচ্ছে। এতে দেশীয় তৈরি পোশাকের বড় বাজার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। এ কারণে কমে গেছে রফতানি আদেশ। ইউরোপের ক্রেতারা এরই মধ্যে ক্রয়াদেশ অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে পোশাক খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ রফতানি আদেশ কমে গেছে। আমেরিকার বাজারেও একই অবস্থা। এছাড়া আরো উন্নয়ন সহযোগী দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে দেশের রফতানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। করোনার প্রভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
দেশের রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ-আমেরিকা। এসব স্থানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলায় কমে গেছে রফতানি আদেশ। চলতি অর্থবছরের অর্ধেক অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পোশাক রফতানি কমেছে প্রায় ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১৯ সালের নভেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রফতানি হয়েছিল ১০৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের পোশাক। চলতি নভেম্বরের একই সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে ৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের।
তবে আশার কথা হচ্ছে আমাদের রেমিট্যান্স প্রতিনিয়ত রেকর্ড গড়ছে। এর মূল কারণ, করোনার কারণে হুন্ডি ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় এসব বিদেশি অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে দেশের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
Posted ৫:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed