| বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 472 বার পঠিত
‘যদি কোম্পানিগুলোকে ধরা হয়, তাহলে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধরার সুযোগ রয়েছে, সে-সবে যেতে চাই না। আমরা চাই আপনারা (সিইওরা) দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করুন’ এমনটা বলে বীমা খাতের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। বুধবার বেলা ৩টায় আইডিআরএ’র সভাকক্ষে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন তিনি।
বীমা খাতের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ গ্রহণে এ সভা আয়োজন করা হয়। সভায় আইডিআরএ সদস্য, বিআইএফের প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও বিএম ইউসুফ আলীসহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানির সিইও এবং আইডিআরএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইএফ সভাপতি বিএম ইউসুফ আলী তার বক্তব্যে বীমা কোম্পানির সিইওদের চাকরির নিশ্চয়তা প্রদানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সিইওদের চাকরির নিশ্চয়তার বিষয়টি আপনাদের দেখতে হবে, বীমাখাতের সিইওদের অবস্থা খুব করুণ। আমরা আইডিআরএ’র চাপেও থাকি আবার বোর্ডের চাপেও থাকি। আইন-কানুনের কোনো বিষয় হলে সব সিইওদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়। অথচ দেখা গেল, কোনো ব্যবসায় কমিশনের ক্ষেত্রে বোর্ডের কেউ হয়তো দিতে চাচ্ছে, কিন্তু সিইও দিবে না, তবে তিনি চাকরি হারাবেন। তাই তাদের চাকরির বিষয়টি দেখতে হবে, প্রয়োজনে বোর্ডগুলোতে এ বিষয়ে আপনাদের হস্তক্ষেপ করতে হবে। তাহলেই অনিয়ম দূর হবে।’
বিএম ইউসুফ আলীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানের সিইও বা এমডিরাই হলে গেটওয়ে, সেটা ভালো দিক থেকে হোক বা খারাপ দিক থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে বীমা দাবি পরিশোধ, বীমা মেলাসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা নেতিবাচক ধারণা দূর করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীমা পরিবারের সদস্য জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এ দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের কাজ করা উচিত। বীমাখাতে যে নেতিবাচক ধারণা আছে তা দূর করার জন্য বর্তমান সরকারের পরামর্শ মতো আমরা অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করছি, ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই আমরা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।
আপনাদেরও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি কোম্পানির যেসব অনিয়ম রয়েছে তা যদি আমরা ধরতে চাই, তাহলে সব ক্ষেত্রেই ধরার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই আপনারা (সিইওরা) দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করুন। এসব অনিয়ম এবং অসঙ্গতি আপনারা নিজেরাই কাটিয়ে উঠুন। এ জন্য সরকার এবং আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে আপনাদের সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। তবে সিইওদের রেসপনসিবলভাবে কাজ করতে হবে।’মতবিনিময় সভায় নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্সে রেট ও ক্রেডিট ভায়োলেশন, দেশের বাইরে রি-ইন্স্যুরেন্স করা, উন্নয়ন কর্মকর্তাদের এজেন্টে পদায়ন, লাইফ ইন্স্যুরেন্সে লেয়ার ও কমিশন নির্ধারণ, ইমেজ সংকট, প্রচার-প্রচারণা, অটোমেশন ও ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার চালুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের সিইও ইমাম শাহীন, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের সিইও আবদুল খালেক মিয়া, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সিইও ফারজানা চৌধুরী, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের সিইও পি.কে রায় এফসিএ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের সিইও মোশাররফ হোসেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সিইও হেমায়েত উল্ল্যাহ প্রমুখ।
Posted ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed