বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কালো তালিকাভুক্ত’ কোম্পানি থেকে এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১   |   প্রিন্ট   |   316 বার পঠিত

‘কালো তালিকাভুক্ত’ কোম্পানি থেকে এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন

বিশ্বের কয়েকটি দেশে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ জ্বালানি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে প্রতিষ্ঠানটির কালো তালিকাভুক্তির বিষয়ে ‘কিছু জানা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ৬ষ্ঠ এলএনজি কার্গোর আওতায় ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। একই সঙ্গে পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ৭ম এলএনজি কার্গোর আওতায় ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে ৩১২ কোটি ৬৫ লাখ ২৪ হাজার ২২৪ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

এলএনজির আমদানির প্রস্তাব দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় লং টার্মে পাওয়া যায় না, সেজন্য স্পট থেকে আমরা কেনার চেষ্টা করছি। স্পট থেকে কেনা আমাদের নতুন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা স্পট পার্চেজ করিনি। আমাদের যেহেতু এলএনজি দরকার তাই স্পট থেকে কিনেছি। কিন্তু বিভিন্ন সোর্স থেকে আমাদের যে লং টাইম চুক্তি রয়েছে সেগুলো অব্যাহত রেখে বাড়তি চাহিদা মেটাতে স্পট পারচেজ থেকে কেনার চেস্টা করছি। লং টার্মে একরকম দাম এবং স্পট থেকে কিনলে আরেক রকম।’

‘এই মূল্য তালিকা অনলাইনেই পাওয়া যাবে। ডেইলি বেসিসে প্রাইস ওঠা-নামা করে। তাই আমরা ইমিডিয়েট প্রাইসে আমরা কিনছি। আমরা কেনার সময় বাজারে কেমন দাম আছে সেটা নির্ণয় করি।’

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্ল্যাকলিস্টেড একটি কোম্পানি থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে কেন, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্ল্যাকলিস্টেড না। বিভিন্ন দেশে তারা ব্যবসা করে। আমাদের দেশে তো তারা ব্যবসাই করেনি এখনও। আমরা প্রকিউরমেন্ট করি আমাদের স্বার্থে। তারা সেখানে ব্ল্যাকলিস্টেড হলে আমাদের তো ক্ষতি হচ্ছে না। আমরা যদি না পাই তাহলে তাদের যে সিকিউরিটি আছে সেটা প্রফিট হবে। সরবরাহ যখন করবে সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তারা টাকা পাবে। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে না। আমার জানা নেই তারা ব্ল্যাকলিস্টেড।’

‘তবে ব্ল্যাকলিস্টেড হলে তাদের কাছ থেকে নেব কেন? আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব, তারা দেখবেন। আগামী সভায় বিষয়টি অবহিত করার চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে দুইটি প্রস্তাব ও ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে ৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণই জিওবি থেকে যোগান দেয়া হবে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।