বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোম্পানির নিরীক্ষা তথ্য দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই: শিবলী রুবাইয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট   |   151 বার পঠিত

কোম্পানির নিরীক্ষা তথ্য দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই: শিবলী রুবাইয়াত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, যেকোন ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পরিচর্যা ও সুপারভিশনের (তত্ত্বাবধান) দরকার পড়ে। এজন্য আমাদেরকেও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো দেখভাল করতে হয়। এসব করতে গিয়ে অনেক কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষাও করতে হয়। সেখানে এমন সব তথ্য উঠে আসে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাণিজ্য প্রতিদিন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বসি। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির টাকা পাচাঁর ও অনেক কোম্পানির আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই।

তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা পাঁচারকারীদেরকে শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

শেয়ারবাজারে উঠা-নামা স্বাভাবিক উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের উর্ধ্বমূখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নিম্নমূখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের আচরন উল্টো।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু পড়তি বাজারে কেনা শুরু করলে বাজারে উঠে যাবে।

কে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও ম্যানেজ করি না বলে জানান বিএসইসির এই চেয়ারম্যান। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদেরকে দোষারোপ করে, কিন্তু লাভ করলে আবার কিছু বলে না।

বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমরা কঠোরভাবে শেয়ারবাজার মনিটরিং করি। এখানে ২০১০ সালের পূণরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব অনেক। আমরা এই খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন শেয়ারবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আজকে বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ অনেকে এসএমই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। কমিশন তা গুরুত্বসহকারে দেখবে। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি পক্ষের দাবির আলোকে তা বাস্তবায়ন করা ঠিক হবে না। অপরপক্ষের বক্তব্যও শুনতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে, ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদেরকে লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। অন্যথায় এ খাতে লেনদেনে গতি ফেরবে না। একইসঙ্গে এই খাতের উন্নয়নে প্রথম ২ বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর পরিচালক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান, ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া, সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেলসহ অন্যান্যরা।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৫৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।