বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 266 বার পঠিত
দেশে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকারও বেশি। ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় এ সমস্যার সুরাহা করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ঋণ নেওয়ার পর নানা অজুহাতে একের পর এক খেলাপি হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। খেলাপি ঋণের এ বোঝা বইতে বইতে অনেক ব্যাংকের অবস্থা নাজুক।
দেশের ৫৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৩০ শতাংশ থেকে প্রায় ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি আছে ৯ ব্যাংকের। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে বিদেশি মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। তাদের খেলাপি ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর দেশি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ হয়েছে ৭৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যে ৯টি ব্যাংকের ঋণ উদ্বেগজনক হারে খেলাপি হয়েছে, সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (৩৬ দশমিক ১১ শতাংশ), বেসিক ব্যাংক (৫১ দশমিক ৭৩ শতাংশ), জনতা ব্যাংক (২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ), সোনালী ব্যাংক (২০ দশমিক ৯১ শতাংশ), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (৭৯ দশমিক ৮১ শতাংশ), পদ্মা ব্যাংক (৬৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (৩০ দশমিক ৮ শতাংশ) এবং দেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২০১৯ সালের ১৬ মে ঋণ খেলাপিদের মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুযোগ দেয় সরকার। ওই সুবিধার আওতায় জুন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ব্যাংক নবায়ন করে, যার অর্ধেকই করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এভাবে বেড়ে যাওয়াটা খুবই উদ্বেগজনক। একইসঙ্গে ঋণ খেলাপি থেকে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
Posted ২:১১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed