শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তার চোখে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ জেগে আছে

ড. আতিউর রহমান   |   শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   519 বার পঠিত

তার চোখে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ জেগে আছে

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর  বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এরই মধ্যে অনেকটা পথে পেরিয়ে এসেছেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে নিদারুণ এক দুঃসময়ে তিনি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন। হঠাৎ করেই তার পদস্পর্শে পুরো বাঙালি জাতি ঝাঁকি দিয়ে জেগে উঠল। ভয়ে ম্রিয়মাণ স্বৈরশাসিত বাংলাদেশের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা প্রতিস্থাপনের এক সাহসী এজেন্ডা নিয়ে তিনি এলেন। ওই দুঃসময়ে বাঙালি জাতির নির্ভয় বিকাশের তিনিই প্রধান কা-ারি। ভরসার প্রতীক। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তিনি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেন। কবি নির্মলেন্দু গুণ যথার্থই লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়িতে/আপনি পা রেখেছেন মাত্র।/আপনার পথে পথে পাথর ছড়ানো।/পাড়ি দিতে হবে দুর্গম গিরি, কান্তার মরুপথ।’ (‘পথে পথে পাথর’)। বিস্তর সেই চ্যালেঞ্জ বাবার মতোই দুঃসাহসের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েই এগিয়ে চলেছেন সামনের দিকে। তাই অনুপম সেন তাকে আখ্যায়িত করেছেন, ‘অধিকার-সংগ্রামের বহ্নিশিখা’ বলে (দেখুন, ‘গণতন্ত্রের বহ্নিশিখা শেখ হাসিনা’, বংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ২০১৬, পৃ. ১৫৭)। ড. সেন ওই প্রবন্ধেই লিখেছেন যে, ‘যথার্থ অর্থেই, তিনি গণতন্ত্রের অগ্নিশিখা, মানুষের মুক্তির স্বাপ্নিক যোদ্ধা।… একই সঙ্গে বজ্রের মতো কঠিন-কঠোর ও ফুলের মতো কোমল নেত্রী।’ মানবসত্তাকে পূর্ণতা দিতে এবং দারিদ্র্য নিরসনে নিবেদিত এই ‘মানবতা-ঋদ্ধ’ নেত্রীর জন্য শুভকামনায় তিনি প্রত্যাশা করেছেন, ‘কোনো মেঘ আচ্ছাদিত না করলে, জোতির্ময় আলো যে আসবে, এই দেশকে আলোয়-আলোয় ভরে দেবে, উদ্ভাসিত করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’ (ঐ, পৃ. ১৮১)।

সেই আলোর আভায় এখন দীপ্ত বাংলাদেশ। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তার হাত ধরে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত দশ বছরেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তিনগুণ বেড়ে তিনশ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়েই জনগণের ভোগ বেড়েছে তিনগুণ। বিনিয়োগ বেড়েছে চারগুণ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। দারিদ্র্য কমে হয়েছে অর্ধেক। মঙ্গা, ক্ষুধা, খাদ্যাভাব ও অনটন শব্দগুলো যেন উধাও। জীবনের গড় আয় বেড়েছে পাঁচ বছরেরও বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হারও কমেছে আশাতীতভাবে। উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্ধেক। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দৌড়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বসেরা দেশগুলোর একটি। দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা। আর তাই প্রয়াত মুস্তাফা নূরউল ইসলাম তাকে ‘শান্তির দূত ও উন্নয়নের প্রতীক’ বলেই থামেননি। আরও বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন তার নানামুখী দূরদর্শী কর্মকা-ের কারণে।’ (ঐ, পৃ. ২১)। আরেক প্রবীণ সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমি গর্ব করে বলতে পারি বঙ্গবন্ধুকে আমি দেখেছি। তার নিকট-সাহচার্যে গিয়েছি। এখন জীবনসায়াহ্নে পৌঁছে আবারও গর্ব করে বলতে পারছি, আমি হাসিনার শাসনামলও দেখে গেলাম। আমার বিশ্বাস, হাসিনার শাসনামল একদিন অতীতের হোসেনশাহী শাসনামলের মতো বাংলার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে সংযুক্ত হবে।’ (ঐ, পৃ. ৩৩)। প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘এ কথা তর্কাতীত যে, সাহস-দুঃসাহসের ভেদরেখা ভেঙে একরোখা ইচ্ছাশক্তি নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বদেশ সাধনায় নিয়োজিত রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।… বঙ্গবন্ধু যেমন একাধারে ইতিহাসের সৃষ্টি ও স্রষ্টা-বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা পিতৃদত্ত গুণে গুণান্বিত শেখ হাসিনাও ইতিহাসে নন্দিত ও বন্দিত হবেন।’ (ঐ, পৃ. ৪৯)।

আমাদের ঐতিহাসিক পথযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিচক্ষণতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং শুভ বাংলাদেশ- সব অশুভতার ভেতরেও যে প্রকৃত বাংলাদেশ জেগে আছে- তার সাফল্যের জন্য শুভকামনা নিয়ে সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অপেক্ষায় তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।’ (ঐ, পৃ. ২১৩)। শুধু বাংলাদেশের গুণীজন নন, পাশের দেশ ভারতের পশ্চিম বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিকদের লেখাতেও শেখ হাসিনার সারল্য, বাঙালিয়ানা, সাহিত্যপ্রেম, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের নানা দিক ফুটে উঠেছে। সম্প্রতি ‘জার্নিম্যান’ প্রকাশিত ড. মো. মোফাকখারুল ইকবালের সম্পাদনায় ‘আপনজন শেখ হাসিনা’ নামের একটি বইতে শেখ হাসিনার ওপর পশ্চিম বাংলার লেখকদের অনুভূতি স্থান পেয়েছে। ‘আপনজন’ শিরোনামে সমরেশ মজুমদার লিখেছেন, ‘কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যখন মা অথবা দিদি বোন ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না তখন সেই দেশ নিজের দেশ হয়ে যায়।’ (ঐ, পৃ. ১৪)। এই লেখাতেই সমরেশ মজুমদার শেখ হাসিনার সহজ একটি প্রশ্ন তুলে ধরে তার উত্তরও দিয়েছেন। তার প্রতি শেখ হাসিনার প্রশ্ন : ‘মাঝে মাঝে শুনতে পাই আপনি ঢাকায় এসেছেন। অথচ আমার সঙ্গে দেখা করেন না। কী ব্যাপার?’ তার উত্তরে তিনি হাসিমুখে বলেছিলেন, ‘আপনি এতদিনে একটুও বদলে যাননি।’ আর সে কারণেই তিনি তার আপনজন। এই চিরায়ত বাঙালি সহজ সরল শেখ হাসিনাকে ‘তিমির-বিনাশিনী’ উল্লেখ করে চন্দ্রন সেন লিখেছেন, ‘মানুষের মুক্ত মানবিকতার অভিযানে শেখ হাসিনা তার কালজয়ী শহীদ পিতার দুর্দম প্রতিশ্রুতি ভোলেননি।’ (ঐ, পৃ. ১০)। প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত ‘শেখ হাসিনাকে যেমন দেখেছি’ নিবন্ধে লিখেছেন, ‘হাসিনা বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য নিয়ে যে কতটা আগ্রহী তা তার সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায় না। এপার বাংলা থেকে কোনো বাংলা ভালো লেখা প্রকাশ হলে তিনি তা পড়ে ফেলেন।’ (ঐ, পৃ. ৩৪)।

‘বিশ্বের বিস্ময় আমার বিমুগ্ধ চেতনা’ নিবন্ধে তুষার কান্তি বিশ্বাস লিখেছেন, ‘যে মানুষটির ওপর উনিশবার সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেই মানুষটা এমন নিশ্চিন্তে থাকেন কীভাবে। স্পষ্ট হলো তার কথাতেই। সাধারণ মানুষ যার সঙ্গে থাকেন, তার কোনো ভয় থাকে না, থাকতে পারে না।… কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু আমার বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে তিনি তখন যেন আমার পরিবারেরই একজন অভিভাবক। আমার পিসিমা বা মাসিমা বসে রয়েছেন আমার সামনে। এ মুগ্ধতা কবে কাটবে জানি না।’ (পৃ. ৩৮-৩৯)। শেখ হাসিনার আরেক অনুরাগী রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বাংলা ব্যাকরণ চর্চার অন্যতম দিকপাল পবিত্র সরকার। তিনি বিশ্বভারতী সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া শেখ হাসিনার অভিভাষণে মুগ্ধ। তাই লিখেছেন, “শেখ হাসিনার বাংলা অভিভাষণ বাঙালি শ্রোতাদের কানে ‘মধুবর্ষণ’ করেছিল। অনেকেই বলাবলি করেছেন, এমন সহজ, স্বচ্ছন্দ বাংলা বাংলাদেশের বাইরে শোনার সুযোগ ক্রমেই কমে যাচ্ছে। আমিও একাধিকবার তার অনাড়ম্বর কিন্তু আন্তরিক বাংলা ভাষণ শুনে মুগ্ধ হয়েছি।” (ঐ, পৃ. ৪৪-৪৫)। বাংলাদেশেই জন্মেছেন তিনি। এখন থাকেন পশ্চিম বাংলায়। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নে সদাই উদ্দীপ্ত। বাংলা ভাষার উন্নয়নে সদা তৎপর। তাই পবিত্র সরকার লিখতে পারেন, ‘আমি জানি শেখ হাসিনার আমলে বাংলার মানুষ গর্ব করার অনেক কিছু পেয়েছেন, বাংলার সদাজাগ্রত বুদ্ধিজীবীরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূমিতল পর্যন্ত পৌঁছেছে।’ (ঐ, পৃ. ৪৯)। ওই বইতেই ‘বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ উন্নতির লক্ষ্যে দশ কদম এগিয়েছেন’ বলে দাবি করেছেন প্রতিমরঞ্জন বোস।

অমলেশ দাশ গুপ্ত লিখেছেন, ‘এক কথায় সামাজিক প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা অকল্পনীয়।’ (ঐ, পৃ. ৭৩)। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেও সহজ ও স্বাভাবিক শেখ হাসিনা কী করে নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণে এতটা কঠোর ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অন্যান্য প্রায় সবাই। ইনিই শেখ হাসিনা। তিনি দারুণ বিনয়ী খুবই পরিশ্রমী, সর্বক্ষণ সতর্ক, দুঃখী মানুষের দুঃখে কাতর, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অর্জনের স্বপ্নে বিভোর এবং উদার চিন্তায় নিবেদিত এক দূরদর্শী নেত্রী। তাই বরাবরই শেষ হাসিটা তিনিই হাসতে পারেন।

বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক কৌশিক বসুকে বাংলাদেশে নিমন্ত্রণ করে এনেছিলাম আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি দীর্ঘ আলাপ করেছিলেন। সেই স্মৃতি তার এখনো মনে আছে। তাই তিনি ‘প্রজেক্ট সিন্ডিকেটে’ হালের (১ মে ২০১৮) এক লেখায় লিখেছেন যে, ধর্মীয় উগ্রবাদিতার ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা অসাধারণ উদারনৈতিক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা টেকসই হবে।

তিনি আরও লিখেছেন, যখন কোনো দেশ দ্রুত উন্নতির পথে হাঁটে তখন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বৈষম্য, সন্ত্রাস, ধর্মীয় উগ্রবাদিতার মতো ঝুঁকি দেখা দিতেই পারে। কিন্তু শেখ হাসিনার মতো উদার ও শক্তিশালী নেতৃত্বের গুণেই এশিয়ায় উন্নয়নের সাফল্যের গল্পটি দানা বাঁধবে বাংলাদেশকে ঘিরেই। বিশ্বজুড়েই আজ তিনি সবার জন্য টেকসই উন্নয়নের উজ্জ্বল এক প্রতীক। হতে পেরেছেন সবুজ ধরিত্রীর অনন্য রক্ষক। তিনি মানবতার মা। শান্তির দূত। সমুদ্রকন্যা। নারীর ক্ষমতায়নের উৎস। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। অধিকার-সংগ্রামের বহ্নিশিখা। এবং কোটি কোটি নির্যাতিত মানুষের ভরসার আরেক নাম। তার সুদক্ষ রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বেই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বৈষম্য, সন্ত্রাস, মাদকাসক্তি, ধর্মীয় উগ্রবাদিতার মতো দারুণ সব ঝুঁকি মোকাবিলা করে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে প্রিয় বাংলাদেশ। সামাজিক অনাচার ও অন্যায়ে লিপ্ত, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞানকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে তিনি আজ যুদ্ধে লিপ্ত। তার এই সাহস ও জনস্বার্থপ্রীতির কারণে দেশবাসী সুশাসনের ব্যাপারে আশান্বিত। সাধারণ মানুষসহ সব শুভ প্রাণ মানুষের শুভেচ্ছায় আজ তিনি সিক্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্মদিন উপলক্ষে লেখাটি শেষ করছি কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর ‘ভেতরের চোখ’ কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি উচ্চারণ করে।

‘তাঁর চোখে কথা বলে চলে

যেন ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল।’

ড. আতিউর রহমান : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।