বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 467 বার পঠিত
দর্শনার্থীর উৎপাত কম থাকায় এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়েছে। শীতের এ মৌসুমে ক্যাম্পাসে ১২ প্রজাতির সাত হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি এসেছে, যা বিগত দুই দশকে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাখি বিশেষজ্ঞ ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি পাখিশুমারি করা হয়। এতে একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়। শুমারিতে ১২ প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে। এছাড়া গণনা করে সাত হাজারের বেশি পাখি পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্য বছরগুলোতে ৫-৬ প্রজাতির পাখি পাওয়া যেত তবে এবার সেটা দ্বিগুণেরও বেশি। আর পাখি সাধারণত পাঁচ হাজারের বেশি আসতো না। এর আগে এতো পাখি দেখা যায়নি’।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করে। তখন কী পরিমাণ পাখি আসতো তার সুস্পষ্ট পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০০০ সালের পর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি পাখি পাওয়া যায়নি। এবার ক্যাম্পাসে সাত হাজারের বেশি পাখি পাওয়া গেছে। পাখির এই সংখ্যা বিগত দুই দশকে সর্বোচ্চ।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে দর্শনার্থীর উৎপাত না থাকায় পাখির প্রজাতি ও সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা করছেন পাখি বিশেষজ্ঞরা।
পাখিশুমারির তথ্যমতে, নাকতা হাঁস, খুনতে হাঁস, জিরিয়া হাঁস, ভুতি হাঁস, লেঞ্জা হাঁস, আফ্রিকান কম্ব ডাক, ছোট সরালি, বড় সরালি, পাতারি হাঁস, গ্রেটার স্টর্ক, ফুলুরি হাঁস এবং ইউরেশিয় সিঁথি হাঁস প্রজাতির পাখি এসেছে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও পাখি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ বলেন, কিছু নতুন প্রজাতির পাখি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে এসেছে। দেশের অন্য জলাশয়ে আসলেও দর্শনার্থীদের উৎপাতের কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে এই পাখিরা আসতো না। উৎপাতের কারণে এসেও অনেকসময় ফিরে যেত। তবে এবার এমনটি হয়নি।
Posted ২:২৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed