নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট | 54 বার পঠিত
পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের লক্ষে উত্তরা ফাইন্যান্সে স্বতন্ত্র পরিচালক মনোনয়ন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি উত্তরা ফাইন্যান্সে অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের লক্ষে ১২ জন স্বতন্ত্র পরিচালকদের মনোনয়ন দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিএসইসিকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির বিষয়ে উল্লেখ করে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রস্থ পত্রের প্রেক্ষিতে উত্তরা ফাইন্যান্সের আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনে একজন অতিরিক্তসহ যোগ্য মোট ১২ জন ব্যক্তির একটি তালিকা পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্তসহ পাঠানো হয়েছে। তাই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির মননীত এই ১২ স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্যে রয়েছে একাডেমিক প্লাস ইকোনোমিস্টের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, প্রশাসন ও গভর্নেন্সের মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, ল এনফোর্সিং এজেন্সির মো. মইনুর চৌধুরী, অ্যাকাউন্টিংয়ের মাহফুজুল হক, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট মো. মাহমুদ হোসাইন, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উজ জামান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট এবং ফিন্যান্সিয়াল স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বিজনেস ল’র কাওসার আহমেদ, ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এবং সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।
এর আগে, ২৩ জুন উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শামসুল আরেফিনকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উত্তরা ফাইন্যান্স থেকে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ আত্মসাতে অন্যদের সহায়তা ও আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার বিরুদ্ধে এসব অনিয়ম প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ধরা পড়ে, পরে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান হকের (কেপিএমজি) প্রতিবেদনেও উঠে আসে।
Posted ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
bankbimaarthonity.com | saed khan