বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 278 বার পঠিত
আধুনিক সময়ে পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির হৃৎপিন্ড মনে করা হয়। একটি দেশে শিল্প বিকাশে পুঁজিবাজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একে কাজে লাগিয়ে উন্নত বিশ্বে শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটছে। উন্নত দেশগুলো এই নজির গড়েছে। আর আমাদের দেশের অবস্থা আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। যদিও শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে। এই পরিস্থিতি কাটানোটা দেশের জন্য খুবই জরুরি।
সম্পদের তুলনায় আমাদের দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। কর্মসংস্থানের তুলনায় বেকারত্বও আকাশছোঁয়া। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অর্থনীতির আকার বেড়েই চলছে। নানাক্ষেত্রে সামাজিক সূচকও বিকাশমান। কিন্তু বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব, শিল্পায়নে মন্থর গতির কারণে ব্যাহত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন। এই অবস্থায় যদি দেশের পুঁজিবাজারকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানো যায়, তাহলে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব।
পুঁজিবাজার বিকশিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা সুশাসনের অভাব। এটি কাটিয়ে উঠতে পারলে বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ানো সম্ভব। আর আস্থা বাড়লে বিনিয়োগও বাড়বে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত হবে। এটি যদি করা যায়, বেকারত্ব কমার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি গতি লাভ করবে। তাই সুশাসনের বিষয়টি খুবই জরুরি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোয় সৎ ও যোগ্য লোকবল দরকার। সততার অভাবে সুশাসন ব্যাহত হয়। তবে বিষয়টি রাতারাতি সম্ভব না হলেও আন্তরিকতা থাকলে কাজটি সহজ হয়ে যায়।
গত প্রায় এক দশকে বিশেষ করে ২০১০ সালের পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে কারসাজিসহ নানা ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এই অনিয়মের পেছনে কারা দায়ী, কারা শেয়ার কেনা-বেচায় কারসাজি করছে এটি খুঁজে বের করা সম্ভব। কিন্তু এই কাজটিই হচ্ছে না। যখন বড় ধরনের কোনো ঘটনা পুঁজিবাজারে ঘটে তখনই একটি কমিটি করা হয়। তারপর কমিটি রিপোর্টও দেয়। এরপর কোনো অদৃশ্য কারণে আর অগ্রগতি হয় না। এই অবস্থাই চলে আসছে বছরের পর বছর। তবে বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন হওয়ার পর কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। এই আলো বিকশিত হোক, এমনই চাওয়া বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের। আমরাও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।
Posted ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed