বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুটবলের মহানায়ক ম্যারাডোনার প্রস্থান

বিবিএনিউজ.নেট   |   বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০   |   প্রিন্ট   |   296 বার পঠিত

ফুটবলের মহানায়ক ম্যারাডোনার প্রস্থান

মাত্র কয়েকদিন আগেই রক্তক্ষরণজনিত কারণে ডিয়েগো ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর ডাক্তাররা তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ হার্ট অ্যাটাক করলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি। যেখান থেকে আর ফিরলেন না তিনি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই ফুটবল মহানায়ক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

ম্যারাডোনার আইনজীবী ম্যাথিয়াস মারলাহোস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে) এই খবর ব্রেক করে আর্জেন্টাইন গণমাথ্যম ক্লারিন। এরপরই ছড়িয়ে পড়ে আর্জেন্টিনার মিডিয়াগুলোতে। এরপর সারাবিশ্বের মিডিয়ায়।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। সেবার জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করতে হয় তাকে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির অবিসংবাদিত কিংবদন্তি ছিলেন তিনি।

দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হলেও, ডাক্তাররা বলেছিলেন আশাতীত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। যদিও মাদকাসক্তির কারণে তাকে বাড়িতে নয়, পাঠানো হয়েছিল বুয়েন্স আয়ার্সের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। এরপর তাকে নেয়া হয় নিজের বাড়ি তিগ্রেতে। সেখানেই আজ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই কিংবদন্তি।

আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর ইতালিয়ান ক্লাব ন্যাপোলি ছিল তার সোনালি যুগের ক্লাব। খেলেছেন বার্সেলোনার জার্সিতেও। কিন্তু ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর থেকেই ফুটবল বিশ্বে অবিসংবাধিত কিংবদন্তিতে পরিণত হন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি গোল করেছিলেন, সে দুটিই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। প্রথমটি করেছিলেন হাত দিয়ে। যে কারণে এটাকে বলা হয় ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’। অন্যটি করেছিলেন মাঝমাঠ থেকে এককভাবে টেনে নিয়ে গিয়ে। সেই গোলটারই নাম হয়ে যায় ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’।

মাদকাসক্তির কারণে বারবার শিরোনামে আসেন ম্যারাডোনা। তবে সর্বশেষ মস্তিষ্কে জমাটবাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিলিজ দেয়ার পর তিনি ওলিভোস ক্লিনিক থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় শত শত ভক্ত-সমর্থক এবং ফটোগ্রাফার চেষ্টা করেছিলেন তার একটি ছবি তোলার জন্য। কিন্তু সঠিকভাবে কেউই ছবি তুলতে পারেনি কিংবা ভিডিও’ও করা যায়নি।

ম্যারাডোনার আইনজীবী ম্যাথিয়াস মারলাহোস ওই সময় জানিয়েছিলেন, মাদকাসক্তি থেকে ফেরাতে তাকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তিগ্রের একটি নিরাময় কেন্দ্রে কয়েকদিন থাকার পর নিজের বাসায় নেয়া হয়। যেখানে তার বড় মেয়ে থাকতেন। বুধবার বিকেলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। কিন্তু কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।

মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই পুরো ফুটবল বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। অগণিত ভক্ত-সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যারাডোনার ছবি দিয়ে শোক প্রকাশ করতে শুরু করেন।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।