শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেশি বিক্রি হচ্ছে কোন সঞ্চয়পত্র

বিবিএ নিউজ.নেট   |   শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০   |   প্রিন্ট   |   307 বার পঠিত

বেশি বিক্রি হচ্ছে কোন সঞ্চয়পত্র

একটি করে বছর পার হচ্ছে আর সঞ্চয়পত্রে সরকারের পুঞ্জীভূত দায়ের আকার বড় হচ্ছে। এ দায়ের আকার এখন ২ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতেই সরকারকে মুনাফা দিয়ে যেতে হচ্ছে। মুনাফার হার ১১ শতাংশের বেশি। ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সঞ্চয় অধিদপ্তরের হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সব ধরনের সঞ্চয় কর্মসূচিতে সরকারের দায় নিয়ে সঞ্চয় অধিদপ্তর ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন বলছে, একসময় দশ ধরনের সঞ্চয়পত্র থাকলেও এখন আছে চার ধরনের। এগুলো হলো পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র। সব কটিরই মুনাফার হার ১১ শতাংশের বেশি।

দেখা যায়, এক পরিবার সঞ্চয়পত্রেই সরকারের দায় ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সরকারের দায় ২৬ শতাংশ, কোন সঞ্চয়পত্রে মানুষের বিনিয়োগ কেমন, এ তথ্য খুঁজতে গিয়ে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। এই হার ৩১ শতাংশ। ৩০ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পরিবার সঞ্চয়পত্র।

এ ছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ১২ শতাংশ এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ৬ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে আছে ২১ শতাংশ।

অন্যান্য খাতের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বন্ড। যেমন ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ডাকঘর সঞ্চয়, ডাক জীবন বিমা ইত্যাদি।

বেশি মুনাফা পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে সব সঞ্চয়পত্রে সবার বিনিয়োগ করার সুযোগ নেই। আর এ কারণেই দেখা যায় যে মুনাফার হার বেশি থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো সঞ্চয় কর্মসূচিতে বিনিয়োগের হার তত বেশি নয়।

পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১ লাখ টাকায় মাসিক মুনাফা পাওয়া যায় ৮৬৪ টাকা। ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফা ২ হাজার ৪৮৪ টাকা। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফা ২ হাজার ৬৪৬ টাকা। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে একেক বছরের জন্য একেক হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

দশ ধরনের সঞ্চয়পত্রের মধ্যে যে ছয় ধরনের সঞ্চয়পত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, বোনাস সঞ্চয়পত্র, ছয় মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, জামানত সঞ্চয়পত্র, ১০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র। ২ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার দায়ের মধ্যে দশ ধরনের সঞ্চয়পত্রে সরকারের দায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা।

সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সবচেয়ে বেশি দায় পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ৭৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা।

এ ছাড়া তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ৩৩ হাজার ৫৬৯ কোটি এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ২০ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা দায় আছে সরকারের। এর বাইরে ডাকঘর সঞ্চয়ের মেয়াদি হিসাবে আছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৫২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11168 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।