বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 343 বার পঠিত
মহামারী করোনার ভাইরাসের ক্ষতি থেকে আর্থিক খাতকে সুরক্ষা দিতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পদক্ষেপের কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের ব্যাংক খাত মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তবে দেশের রফতানি খাতের গতি এখনো শ্লথ। এ কারণে ওই স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডিস।
গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা শিথিল করে রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বিরূপমানে শ্রেণিকরণ (ডাউন গ্রেডিং) বন্ধ রাখা হয় গত ডিসেম্বর পর্যন্ত। মুডিস বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত এসব সুবিধার কারণেই দেশে গত বছর খেলাপি ঋণের হার ছিল তুলনামূলক কম। ২০২০ সালের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) দেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। যেখানে আগের বছরের একই সময়সীমায় এ হার ছিল ১২ শতাংশ।
এর বিপরীতে গত বছর আশঙ্কাজনকহারে শ্লথগতিতে ছিল দেশের রফতানি খাত। বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও টেক্সটাইলের মতো রফতানি শীর্ষ খাতগুলো ধুঁকেছে সবচেয়ে বেশি। গত বছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের রফতানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ মহামারীর আগ মুহূর্তে ২০১৯-এর শেষেও দেশে মোট বিতরণকৃত ব্যাংকঋণের ১৯ দশমিক ৪ শতাংশই ছিল আরএমজি ও টেক্সটাইল খাতে দেয়া।
করোনা মহামারীর কারণে রফতানিমুখী পোশাক খাতের বেচাকেনা কমেছে। এর ধারাবাহিকতায় চাপের মুখে পড়েছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। সরকারি প্রণোদনার অর্থে সাময়িকভাবে পতন ঠেকানো সম্ভব হলেও মহামারী পূর্ববর্তী অবস্থানে ফেরেনি দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্রখাত। রয়ে গেছে করোনাকালীন চ্যালেঞ্জ। ফলে এ খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা কঠিন। এই বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আগামীতে প্রয়োজনীয় আরো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে।
মহামারীর আঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে গত বছর ব্যাংকঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা তিনবার শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুডিসের ভাষ্যমতে, করোনার কারণে খেলাপি ঋণ ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিশেষ ছাড়ের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে দেশের ঋণমানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
Posted ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed