
| বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 56 বার পঠিত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সরকারের নজরে থাকলেও শেয়ারবাজার উপেক্ষিত হয়েছে। পুঁজিবাজার কিভাবে সরকারের পাইরোটি লিস্টে আসে তা নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারবাজার ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আমাদের দেশেও এটা করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ডিএসই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
মমিনুল ইসলাম বলেন, গত এক দশকে দেশের শেয়ারবাজারে ৬০০ কোটি টাকার দুর্বল আইপিও এসেছে। কিন্তু এরমধ্যে ভালো কোম্পানির সংখ্যা খুবই সীমিত। এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ শেয়ারবাজারের সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। বর্তমানে এই পরিমাণ ১ শতাংশের নিচে নেমে গেছে এবং কর্পোরেট বন্ডের পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে ০.৫১ শতাংশের বেশি নয়।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম ও অদক্ষতার কারণে দেশের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করতে আমাদের সময় লাগবে। যদি আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করতে সফল না হতে পারি, তবে তা আবারো ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ডিএসইতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বাজারের উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে।
মমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সে কাজও আমরা করছি। ইনসাইডার ট্রেডিং এবং ম্যানুপুলেশন কিভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ডিএসইর সুরক্ষা যদি আইনগত হয় তবে আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো। সিসিবিএল থাকবে না, এমনটা আমরা চাই না। বিএসইসি, ডিএসই, সিসিবিএল এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই দক্ষতাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমাদের কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে না। আমরা সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করছি।
ডিবিএর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,শেয়ারবাজারে যে পেশার গ্রুপগুলো রয়েছে সেগুলো পুরোপুরি কাজ করেছে, এমন কোন ভালো অতীত নেই। তবে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার চাপের ফলে বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা গেছে। এটা বাজারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বিকেন্দ্রীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিকেন্দ্রীকরণের পরিবর্তে সবকিছু এফআইডি নির্ভর করা হচ্ছে। অনেক কিছুই প্রাইমারি রেগুলেটরের হাত থেকে নিয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার ফলে আমরা বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ডিএসই যদি প্রভাব মুক্ত থাকতে পারে, তাহলে শেয়ারবাজার ইতিবাচক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ১৫ বছরের অনিয়মের বিচার বিশ্লেষণ করা দরকার। আপনাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তবে সামগ্রিকভাবে সকল অনিয়মের তথ্য উঠে আসছে না। আপনারা সহযোগিতা করলে; অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের জন্য সহজ হয়। আপনারা তুলে নিয়ে আসুন, আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Posted ৭:১৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
bankbimaarthonity.com | saed khan