দেশের স্বার্থ রক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ নিরাপদ দেশগুলোতে স্থানান্তরের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান।

অর্থসচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। পদক্ষেপ না নিলে বিষয়টিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাব, র‌্যাবের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

‘বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, সন্ত্রাস দমন, মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও মানবপাচার রোধে র‌্যাবের অসামান্য অবদান রয়েছে। যদিও র‌্যাবের বিভিন্ন অপারেশনের সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভুল ও কিছু মানবীয় ভুলের কারণে কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। তথাপি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যার ফলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বর্তমানে র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের একটি অংশবিশেষ।’

বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখার জন্য তাদের অর্থ-সম্পদ ফ্রিজিং বা বাজেয়াপ্ত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশকে নিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বিস্তার লাভ করছে তাতে নিকট ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ ফ্রিজিং বা বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের জনগণকে অবর্ণনীয় কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে বলেও নোটিশে বলা হয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ফরেন রিজার্ভ রক্ষার জন্য ন্যূনতম কিছু ফরেন রিজার্ভ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখে বাদবাকি অর্থ বিভিন্ন নিরাপদ দেশে সংরক্ষণ করতে হবে এবং স্বর্ণ আকারে রাখার দাবি জানানো হয়েছে নোটিশে।

নোটিশকারী উল্লেখ করেন, যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি সেসব দেশের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করতে হবে। যেমন-চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে চীনের মুদ্রা ইয়ান, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রুপি ব্যবহার করতে হবে।