| বৃহস্পতিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 950 বার পঠিত
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে বলেছেন, এই আদালতে আমি আর আসবো না। এখানে আমার আইনজীবীদের বসার জায়গা নাই। এভাবে যদি ট্রায়াল চলে তাহলে আমি আর আসতে পারবো না। আমাকে যা সাজা দেওয়ার দিয়ে দেন। এখানে ওপেন ট্রায়াল হচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাইকো দুর্নীতি মামলায় ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে প্রথমে আদালতে আনা হলে খালেদা জিয়া বলেন, এখানে এতো লোকজন কেন? পুলিশ কমাতে বলেন। এতো পুলিশ থাকলে আমার আইনজীবীরা কীভাবে আসবে। জজ সাহেবের সামনে এতো পুলিশ কেমনে থাকে।
বিচারক এজলাসে উঠতে কিছুটা সময় লাগায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী মওদুদ আহমদসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
শুনানির প্রথমে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমরা বারবার বলেছি, এই জায়গায় অ্যাকোমোডেশন হয় না। এখানে অনেক কষ্ট হয়।
তখন খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে বলেন, এত লোক থাকলে তাদের বসতে দিতে হবে। আমি বলতে চাই, এ রকম সংকীর্ণ জায়গায় কোর্ট চলতে পারে না। আর যদি এই জায়গায় কোর্ট চলে, তাহলে আমি আর আসব না। যা সাজা দেওয়ার দিয়ে দেবেন। আমার লোকজন আসতে পারে না। এর আগেও আমি বলেছি এ কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তখন আদালত বলেন, আগামী কোর্টে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ব্যবস্থাই শুধু করার কথা বলা হয়, কিন্তু নেওয়া হয় না।
বিচারক বলেন, আমি নতুন এসেছি। আজ আমার প্রথম কোর্ট। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করব।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
Posted ৪:৪৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed