বুধবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিএফআইয়ের প্রতিবেদন

সাত বছরে দেশ থেকে পাচার ৫ হাজার ২৭৩ কোটি ডলার

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০   |   প্রিন্ট   |   281 বার পঠিত

সাত বছরে দেশ থেকে পাচার ৫ হাজার ২৭৩ কোটি ডলার

বাংলাদেশ থেকে সাত বছরে ৫ হাজার ২৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে বিদেশে। এ অর্থ পাচারের অধিকাংশই হয়েছে আমদানি-রফতানিতে জালিয়াতির মাধ্যমে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

উন্নয়নশীল দেশ থেকে অর্থ পাচারসংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে জিএফআই। সর্বশেষ প্রতিবেদনটি তারা প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে জিএফআই বৈশ্বিক বাণিজ্যের হিসাবে মোট ৮ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার গরমিল খুঁজে পেয়েছে।

‘ট্রেড রিলেটেড ইলিসিট ফিন্যান্সিয়াল ফ্লোজ ইন ১৩৫ ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৮-২০১৭’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে ১০ বছরের অর্থ পাচারের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭-এর কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। এ তিন বছর বাদ দিয়ে সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে বছরে অর্থ পাচার হয়েছে গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাত বছরে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ২০১৫ সালে। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ১৫১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এছাড়া ২০১৩ সালে ৮৮২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, ২০১২ সালে ৭১২ কোটি ১০ লাখ, ২০১১ সালে ৮০০ কোটি ৭০ লাখ, ২০১০ সালে ৭০৮ কোটি ৭০ লাখ, ২০০৯ সালে ৪৮৯ কোটি ৯০ লাখ ও ২০০৮ সালে ৫২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে দেশ থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা বিশ্বেই অর্থ পাচারের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ট্রেড বিজনেস তথা আমদানি-রফতানিকে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি একই। আমদানি-রফতানি ব্যাংকের মাধ্যমে হয়, এজন্য অর্থ পাচার প্রতিরোধে ব্যাংকারদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকারদের দক্ষতা বাড়াতে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অন্যতম। তারাও এ বিষয়ে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।

ট্রেড মিসপ্রাইসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার বেশি হয় বলে জানান অর্থনীতির গবেষকরা। তারা বলছেন, রফতানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং ও আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এটা হচ্ছে। এগুলো ধরার জন্য এনবিআরের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো উচিত। অবৈধ যখন বলা হয়, তখন অর্থ আসা ও যাওয়া দুইয়ের ক্ষেত্রেই তা হতে পারে। আমাদের মতো দেশের ক্ষেত্রে যাচ্ছে বেশি, আসছে কম। অর্থ পাচারের পরিমাণ যা হয়েছে, তাতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কথাই বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। এ প্রবণতা কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:২৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।