মঙ্গলবার ১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনু-রুপনের আরেক বাড়িতে পাঁচ সিন্দুকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   |   প্রিন্ট   |   404 বার পঠিত

এনু-রুপনের আরেক বাড়িতে পাঁচ সিন্দুকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার আরেক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকে থরে থরে সাজানো ২৬ কোটি টাকা পেয়েছে র‌্যাব।

সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে মোটা অংকের এফডিআর, সোনার গয়না, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা এবং ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, যেগুলো ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে এসেছে বলে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ১১৯/১ হোল্ডিংয়ে মমতাজ ভিলা নামের ওই ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় সোমবার মধ্যরাত থেকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।পরে মেশিন এনে টাকা গোণা শেষ করতে বেলা ১টা বেজে যায়।

পরে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৩ অধিনায়ক রাকিবুল হাসান বলেন, নিচতলার ওই বাসায় পাঁচটি সিন্দুকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা এবং ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না পাওয়া গেছে প্রায় এক কেজি।

যেসব বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে তার মধ্যে আছে ৯ হাজা্র ৩০০ মার্কিন ডলার, ১৫৪ মালয়েশীয় রিঙ্গিত, ৫ হাজার ৩৫০ ভারতীয় রুপি, ১ হাজার ১৯৫ চায়নিজ ইয়েন, ১১ হাজার ৫৬০ থাই বাথ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১০০ দিরহাম রয়েছে।

“এই অর্থ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র এখন আমরা থানায় হস্তান্তর করব। পরে সেখান থেকে নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।”

র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফয়জুল ইসলাম বলেন, সংকীর্ণ গলির ভেতরে ওই বাসার অভিযানের সময় কেউ ছিলেন না। বাসাটি আকারে ছোট হলেও সবকিছু বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় ছিল।

“এনু-রুপনের দুই ডজন বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এ বাসার সন্ধান পাই। তবে এখান থেকে নতুন কাউকে আটক করা যায়নি।”

ওই বাড়িতে পাওয়া ক্যাসিনোর সরঞ্জামে পাওয়া গেছে, যেগুলোতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সিল লাগানো ছিল বলে ফয়জুল ইসলাম জানান।

এদিকে মমতাজ ভিলায় অভিযানের মধ্যেই ওই এলাকায় এনু ও রুপনের আরো একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়ার খবর আসে। লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ১০৬ নম্বর হোল্ডিংয়ে দশ তলা ওই ভবনের নামও মমতাজ ভিলা। ওই বাড়িতেও অভিযান চালানো হবে বলে র‌্যাব সদরদপ্তরের সহকারী কমিশনার সুজয় সরকার সে সময় জানান।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, সিন্দুকে পাওয়া ওই টাকার উৎস ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো। টাকা রাখতে জায়গা বেশি লাগে বলে কিছু অংশ দিয়ে সোনা কিনে রাখতেন এনামুল।

ওই ঘটনার পর মোট সাতটি মামলার করা হয়, যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।

বেশ কিছুদিন পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন এনু-রুপন দুই ভাই।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:৫৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।