| বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 383 বার পঠিত
বাংলাদেশি পোশাক কারখানা থেকে তাদের কোন ক্রয় আদেশ বাতিল বা স্থগিত করবে না বলে জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী সিগ্রিড কাগ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রীর নভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে কথা হয়। এসময় তিনি এ আশ্বাস দেন।
এসময় ডাচ মন্ত্রী বলেন, ডাচ সরকার নিশ্চিত করবে যে পোশাক খাতের মান শৃঙ্খলা ব্যাহত হবে না।
সিগ্রিড কাগ বলেন, ডাচ সরকার নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরোর তহবিল গঠন করেছে। যেসব দেশ এই তহবিল ব্যবহার করতে চাই তাদের তহবিল বরাদ্দের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাচ মন্ত্রীর সাথে আলোচনাকালে ইউরোপীয় ব্র্যান্ডগুলির ক্রয় আদেশ বাতিল করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন এবং উল্লেখ করেন ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতারা ৩.১৮ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করেছেন। ফলে ইতিমধ্যে ১১৫০টি কারখানা এবং ২.২৮ মিলন শ্রমিক এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের ক্রেতারা এবং ব্র্যান্ডগুলি যেন বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অর্ডার বাতিল না করে তা নিশ্চিত করার জন্য ডাচ মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন।
এদিকে গতকাল টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী সাথে কথা হলে বাংলাদেশের পোশাক খাতের কোনো অর্ডার বাতিল করবে না বলে জানিয়েছিলেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফ্যান লোফভেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। তবে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সীমিত আকারে কারখানা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে মালিকদের অনুমতি প্রদান করা হয়।
এরপর গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কারখানা খোলার বিষয়টি অবহিত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খোলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে স্বল্পপরিসর কারখানা খোলার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, শুরুতে রোববার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানা, ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা, ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর এলাকা, ২ ও ৩ মে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার কারখানা চালু করা হবে। কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
এই চিঠি পাওয়ার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক একটি চিটি ইস্যু করে। এতে সময় সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানা চালু করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে পোশাক কারখানা খুলতে ১৭ পৃষ্ঠার একটি নির্দেশনা দেয় বিজিএমইএ। ১৭ পৃষ্ঠার নির্দেশনায় বিজিএমইএ প্রাথমিকভাবে কারখানার কাছাকাছি বসবাসকারী শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রতি গ্রাম থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ারও পরামর্শ দেয় সংগঠনটি।
Posted ২:১২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan