নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট | 290 বার পঠিত
আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে (পিএলএফএসএল) পুর্নগঠন বা পুনরুজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য ১০ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেছেণ হাইকোর্ট। এতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলমকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের বোর্ডে সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, দুটি ব্যাংকের সাবেক এমডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর পুনর্গঠিত বোর্ড সদস্যদের পরিচয় জানা গেছে।
প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) অর্থ কেলেঙ্কারিতে খাদে পড়া পিপলস লিজিং পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে অবসায়ন না করে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত দেয় হাইকোর্ট।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠিত বোর্ডে আরও যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন- সরকারের সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌস, পুবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) কাজী তাওফিকুল ইসলাম, এফসিএ নুর-ই খোদা আব্দুল মবিন ও মাওলা মোহাম্মাদ, প্রতিষ্ঠানটির সঞ্চয়কারীদের প্রতিনিধি ডা. নাশিদ কামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুরুল কবির এবং আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জালালুদ্দিন।
হাইকোর্টের লিখিত আদেশে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে প্রথম সভা ডাকার আহ্বান জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অডিট রিপোর্ট তৈরি করা, আদালতের নির্দেশণা সমূহ বোর্ড সদস্যদের সামনে তুলে ধরতে এবং সকলের কার্যাবলী নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বোর্ড সদস্যদ ও আমানতকারীদের বিষয়ে পৃথক পৃথক নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৮ জুন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুর্নগঠন বা পুনরুজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। তবে আদেশের লিখিত অনুলিপিতে বোর্ড সদস্যদের বিস্তারিত তথ্য থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। প্রতিষ্ঠানটির ২০১ আমানতকারীর বক্তব্যের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় বিচারপতির স্বাক্ষরের পর লিখিত অনুলিপিতে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠিত বোর্ড সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করলেন আদালত।
গত ২১ জুন প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে আমানতকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিপলস লিজিংকে অবসায়নের পক্ষে সম্মতি দেয় সরকার।
এরপর আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে অবসায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবসায়ক নিয়োগের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ কোটি আদায় হয়েছে। তবে এখনই আমানতকারীরা কোনও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।
Posted ১২:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan