শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

ভারতে এসইবিআইর সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

  |   শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   101 বার পঠিত

ভারতে এসইবিআইর সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (এসইবিআই) সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভারতের মুম্বাইতে এসইবিআইর কার্যালয়ে দুই সংস্থার প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা হয়।

শনিবার (২৬ আগস্ট) বিএসইসি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সুযোগ-সম্ভাবনাসহ বাজার উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে ভারতের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসইবিআই), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটিজ মার্কেটস (এনআইএসএম) ও মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (এমসিএক্স) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মো. গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

সভায় বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি ডেরিভেটিভের বাজার সৃষ্টি এবং দেশের বাজারে কিভাবে সফলভাবে কমোডিটি ডেরিভেটিভ প্রোডাক্টগুলোর সুযোগ-সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে কথা হয়।

প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে আছে বিপুল ভোক্তা। জিডিপি ও ক্রয়ক্ষমতার সূচকে অব্যাহত উন্নতি করা বাংলাদেশে কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্যের বিপুল সম্ভাবনার আছে বলে জানানো হয় বৈঠকে। পাশাপাশি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা ও কমোডিটি ডেরিভেটিভের বাজার সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা ও এই মার্কেটের বিকাশের পথে নানা চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কেও আলোচনা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের এক্সচেঞ্জ ও বাজার চালু হলে তার যথাযথ রেগুলেশন ও ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনার নানা দিক নিয়ে ভারতের বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়।

উল্লেখ্য, শিগগির বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে দৃঢ় ভিত্তিসম্পন্ন ও সুস্পষ্ট আইনি কাঠামোয় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা এবং দেশের বিনিয়োগকারীদের কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্যের লেনদেনের নিরাপদ বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম উপহার দিতে বিএসইসি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিএসইসি ইতোমধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করেছে এবং বিধিমালা চূড়ান্ত করতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। দেশে কমোডিটি ডেরিভেটিভ মার্কেট প্রতিষ্ঠার জন্য সিএসই ভারতের বৃহত্তম পণ্য ডেরিভেটিভ এক্সচেঞ্জ এমসিএক্সের সঙ্গে কাজ করছে। দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পরামর্শ সেবা নেওয়ার জন্য সিএসই ২০২২ সালে এমসিএক্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর ফলে এমসিএক্স বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় কনসালট্যান্ট বা পরামর্শকের ভূমিকায় কাজ করছে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ভারতের বৃহত্তম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এমসিএক্স পরিদর্শন করে এবং এর পরিচালনা পদ্ধতিসহ নানা বিষয় প্রত্যক্ষ করে।

বৈঠকে ভারতে মিউচুয়্যাল ফান্ড ও সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্টগুলোর বাজার নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের পুঁজিবাজারের মতো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়। ভারতের পুঁজিবাজারে ২০১৩ সালে মিউচুয়্যাল ফান্ড ইন্ড্রাস্টির আকার ছিল ৭.৬১ লাখ কোটি রুপি, যা মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ছয় গুণেরও বেশি বেড়ে ২০২৩ সালে ৪৬.৩৮ লাখ কোটি রুপির আকার পেয়েছে বলে ভারতের বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সভায় বাংলাদেশে মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতের উন্নয়ন এবং এ খাতের প্রোডাক্টগুলোর উন্নতি ও তাদের জনপ্রিয় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা হয়। একই সঙ্গে ভারতে মিউচুয়্যাল ফান্ডসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতে ভারতের মতো প্রবৃদ্ধি হবে বলে সভায় উপস্থিত সবাই আশা বক্ত করেন।

এছাড়াও এদিন কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সাথে বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের একটি বৈঠক হয়। কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য হিসেবে যে পণ্যগুলো ভারত ও বিশ্বজুড়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়, তার মধ্যে অন্যতম কটন। বাংলাদেশের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ও প্রাথমিকভাবে যে কয়েকটি কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য লেনদেন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার একটি হলো কটন। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে বাংলাদেশ গভীরভাবে জড়িত হওয়ায় এ দেশে কটন কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য হিসেবে ব্যাপক সম্ভবনাময়। ভারতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কটনের মতো কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্যের লেনদেন তথা ট্রেডিং-ক্লিয়ারিং প্রক্রিয়া ও এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসহ এর নানাদিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এর আগে দ্রুততম সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা ও কমোডিটি ডেরিভেটিভ মার্কেট গড়ে তোলার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ভারতের মুম্বাইতে এমসিএক্সের কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। গত ২৩ আগস্ট বেলা ১১টায় ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার অংশ হিসেবে ভারতের স্বনামধন্য সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান কটকা মাহিন্দ্র অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের মঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।