| বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪ | প্রিন্ট | 43 বার পঠিত
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিতে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ৯ দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক, পরিচালক, সাধারণ বিনিয়োগকারী ও সর্বস্তরের বৈষম্য ও নিপীড়নবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, অর্থ উপদেষ্টা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তথ্য উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মন্ত্রীপরিষদ সচিব বরাবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠিয়েছে।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ব্যাংক লুটেরা চক্রের মাধ্যমে ব্যাংকের ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি লুটপাট ও পাঁচারের অভিযোগ তুলেছে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের চরম অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা ও দুঃশাসনের চরম নজির স্থাপন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। যার জন্য দায়ী ব্যাংকের একক কর্তৃত্ববাদী চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও তার সকল অপকর্মের দোসর এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমাম।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে ব্যাংকের ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি লুটপাট ও পাচার করেছেন। ২০১৮ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঋণ জালিয়াতি, কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, শেয়ার কারসাজি, মানিলন্ডারিং, নামে-বেনামে ভুয়া কোম্পানি সৃষ্টি করে ব্যাংকের টাকা তছরুপ ও বিদেশে পাঁচারকারী, ব্যাংকে টর্চার সেল খুলে নিরীহ কর্মকর্তাদের নির্যাতন, গ্রাহকের কোম্পানী দখলসহ বিবিধ আর্থিক দুর্নীতির অভয়ারন্য তৈরি করেছেন। তাদের এই লুটতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকের সিনিয়র ম্যাজেনমেন্ট ও কতিপয় শাখা ব্যবস্থাপকের যোগসাজশে সংঘবদ্ধ আর্থিক দুর্নীতি চক্র বা অর্গানাইজড ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।
এছাড়াও, চিঠিতে পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের সীমাহীন দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য, শেয়ার কারসাজি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ ল’ ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবিলম্বে এই দুর্নীতিগ্রস্থ, অবৈধ বোর্ড ভেঙে দেওয়ার দাবি করেন তারা।
Posted ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪
bankbimaarthonity.com | saed khan