নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট | 476 বার পঠিত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ও লেনদেন পদ্ধতিতে ভোগান্তির কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
কমিশন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী রাশেদুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রতিবেদনের আলোকে ডিএসই আইটি বিভাগের বিরুদ্ধে কমিশন দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত শনিবার বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘টেকসই পুঁজিবাজার: প্রবৃদ্ধির চালক’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আইটি বিভাগে বড় ধরনের সংস্কার করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ডিএসইর আইটি বিভাগের সমস্যা নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। রিপোর্ট জমা দিলেই ডিএসইর আইটি বিভাগে বড় ধরনের সংস্কার করতে বলবো।
এসময় চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে ১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এটি ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা। আগামী দিনে বাজারে বিভিন্ন ধরনের বন্ড, এসএমই প্রোডাক্টসহ অনেক ধরনের নতুন নতুন পণ্য আসবে। এসব পণ্য চালু হলে টার্নওভার তখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। তার জন্য ডিএসইর আইটি বিভাগকে সংস্কার করতে হবে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট বিকালে আপডেট ভার্সনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। উদ্বোধনের পরে ১৯ ও ২০ আগস্ট ভোগান্তিতে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। আপডেট সাইটটি খুব ব্যবহারবান্ধব ও রেসপনসিভ হবে বলে জানানো হলেও ওই দু’দিন ভোগান্তিতে পড়েন তারা। যে কারণে গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে ডিএসই। এর মধ্যে এ সমস্যার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসইতে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। পরে চিঠির জবাব দিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওয়েবসাইট স্বাভাবিক কাজ করছে।
ওয়েবসাইট না খোলার কারণে সংকটে পড়েন অসংখ্য বিনিয়োগকারী ও স্টেকহোল্ডার। বিশেষ করে যেসব বিনিয়োগকারী ব্রোকারহাউজে স্বশরীরে উপস্থিত না হয়ে বাসা বা কর্মস্থলে থেকে শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নেন, তাদের কাছে এই ওয়েবসাইট একমাত্র ভরসা। এখান থেকে শেয়ারের মূল্য ও কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য দেখে তারা শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দেন। কিন্তু ওয়েবসাইট না খোলার কারণে তারা লেনদেনে অংশ নিতে পারেননি। পাশাপাশি হাতে থাকা শেয়ারের দাম বেড়েছে না কমেছে সেটিও জানতে পারেননি।
এরপর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ও লেনদেন পদ্ধতিতে ভোগান্তির কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কমিশন তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবস সময় বেঁধে দিলেও সেই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হওয়ায় আরও পাঁচ কার্যদিবস তদন্ত কমিটিকে সময় দেয় বিএসইসি। যার মেয়াদ শেষ হয় গতকাল। আজ সকালে তদন্ত কমিটি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে দেয়।
এবিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রতিবেদনের আলোকে কমিশন দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবে।
Posted ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan