শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

আইপিওর ১৫ শতাংশ পছন্দের ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১   |   প্রিন্ট   |   412 বার পঠিত

আইপিওর ১৫ শতাংশ পছন্দের ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির সুযোগ

পছন্দের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) এর ১৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সুযোগ রেখে পাবলিক ইস্যু রুলস তৈরি করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ ক্ষেত্রে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১০ টাকা দামে এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইসে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এমন বিধান রেখে ইতোমধ্যে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়া প্রকাশ করেছে বিএসইসি। পছন্দের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আইপিও’র এ শেয়ার বিক্রি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট হিসেবে পরিচিত।
সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, আইপিও পরবর্তী যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নীত হবে, সেসব কোম্পানির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।
আর আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা হবে, সেসব কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধনের অন্তত ২০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।
এছাড়া আইপিও পরবর্তীতে যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হবে, আইপিওতে সেসব কোম্পানিকে অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।
এতে বলা হয়েছে, আইপিওর ৭০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে,যার মধ্যে ৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়ায় বলা হয়েছে, যদি একটি কোম্পানি আইপিওতে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়, তার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ইস্যু করা যাবে। এ শেয়ার ইস্যুয়ার তার পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইস্যু করতে পারবেন।
পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা এ শেয়ার দু’ বছরের লক-ইন থাকবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পছন্দের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর আগে অন্যান্য আইপিও বিজয়ীদের সঙ্গে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, আইপিওতে আসা কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ধারণ করা শেয়ার এক বছর লক-ইন থাকবে। আইপিও আবেদনে কোম্পানিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ভ্যাট চালান সংগ্রহ করে, তার সার্টিফায়েড কপি কমিশনে জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে হবে। কমিশন প্রয়োজনে ভ্যাট চালান ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যাচাই করবে- বলে সংশোধিত খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি আইপিও আবেদনের পূর্ববর্তী দু’ বছরে বোনাস শেয়ার ইস্যু ছাড়া অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে না। বোনাস শেয়ার ছাড়া অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো কোম্পানিকে আইপিওতে আসার জন্য কমপক্ষে দু’ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
সম্পাদনা: এম এ খালেক

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৭:০৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।