| মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 164 বার পঠিত
দেশে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতিকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন যখন বিশ্ববাজারে দাম বাড়ে, তখন সরকারের খুব বেশি কিছু করার থাকে না।
তবে পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে নানা উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি এক কোটি মানুষকে কম দামে পণ্য দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গণভবনে মঙ্গলবার ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
গত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের অবনতি, নানা ভুল-বোঝাবুঝির আলোচনার মধ্যে দীর্ঘদিন পর এই বৈঠক হলো। বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন নেতাদের উদ্দেশে। তার কথায় উঠে আসে পণ্যমূল্য প্রসঙ্গও।
গত কয়েক মাস ধরেই নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি যখন ফিরছে, তখন এ বিষয়টি বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য দুর্ভোগ তৈরি করেছে।
এই সময়ে চালের পাশাপাশি সবজি আর বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। বিষয়টি দেশে রাজনৈতিক ইস্যুতেও পরিণত হয়েছে। বিএনপি দাবি করছে, পণমূল্য বৃদ্ধির পেছনে দায়ী সরকারি দলের নেতারা।
তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বেড়ে যায়, তখন খুব বেশি তো আমাদের করার কিছু থাকে না। ওটা তো কমপ্রোমাইজ করতেই হয়। কিন্তু রোজার সময় যাতে অন্তত দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকেৃ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা কাজ আমরা করে দিচ্ছি, আমরা টার্গেট করছি এক কোটি মানুষ, তাদেরকে আমরা স্পেশাল কার্ড দিয়ে দেব, যাতে তারা ন্যায্যামূল্যে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, কয়েকটা আইটেম কিনতে পারে।’
যে ৩৮ লাখ মানুষকে নগদ অর্থসহায়তা দেয়া হচ্ছে, তাদের পাশাপাশি আরও এক কোটি লোককে এই সেবার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া ৫০ লাখ মানুষকে একটা কার্ড দেয়া আছে, সেটা থেকে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে। সে ব্যবস্থাটা করা আছে। ওই ৫০ লাখ প্লাস এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দিয়ে সহযোগিতাটা দেব। যাতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটা তারা ন্যায্যমূল্যে নিয়ে তাদের জীবন-জীবিকা চালাতে পারে।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের থাকেই, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে।’
দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর সরকার জোর দিচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগটা যাতে আসে, তার জন্য আমরা ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক শটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। আর সব থেকে বড় কথা, সবচেয়ে অবহেলিত এলাকাগুলো, সেগুলোর কিন্তু চেহারা বদলে যাচ্ছে।’
১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমীর হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও ফজলে হাসান বাদশা, জাসদের হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আক্তার, সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তরীকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৪:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy