বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট | 376 বার পঠিত
গ্যাসের দাম বাড়ানোর ৪ মাসের মধ্যেই আবারও শুরু হচ্ছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আনুষ্ঠানিকতা। জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এরই মধ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে পাঠিয়েছে পিডিবি ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। এসব আবেদনের ওপর ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে গণশুনানি। তবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বলছে, নীতিনির্ধারকদের ভুল নীতির দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।
২০১০ থেকে ২০১৭ এ ৭ বছরে আট দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে গড়ে ৮২ শতাংশ।
সবশেষ দাম বাড়ানোর দুই বছরের মাথায় আবারও শুরু হলো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া। আগামী বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির হিসাব তুলে ধরে তা সমন্বয়ের জন্য জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের দারস্থ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
আর পাইকারি দাম বাড়ালে গ্রাহক পর্যায়েও সমন্বয়, বিতরণ-পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি, প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা কারণ তুলে ধরে খুচরা দাম বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। পাশাপাশি সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর দাবি পিজিসিবির।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ব সংস্থায় হয়তো কিছুটা ব্যয় বেড়েছে। কোনো সংস্থায় হয়তো কিছুটা কমেছে। ট্যারিফটা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে র্যাশনালি সেটা পাস করতে হবে।
পিডিবি ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনে সাড়া দিয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণশুনানি করতে যাচ্ছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। আইন অনুযায়ী, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের আদেশ দেয়ার কথা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্যারিফ আবেদন করা যাবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত অ্যানালাইসিসগুলো করে ট্যারিফটা ঘোষণা করতে।
এদিকে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীতিনির্ধারকদের ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, ভুল নীতি আর দুর্নীতির বৃত্তে আটকে আছে বিদ্যুৎ খাত। যার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, যতবার বিদ্যুৎতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব উঠছে ততবারই বলছি এখানে অযৌক্তিক ব্যয় আছে। দায় কেনো ভোক্তাদের বহন করতে হবে।
এলএনজি আমদানির আগে পরে সরকারের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হয়েছিল, এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে কমবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ডিজেল নির্ভরতা। যার ফলে কমে আসবে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয়ও। কিন্তু বাস্তবতা হলো এলএনজি আমদানির কারণে গত জুনে আরেক দফা গ্যাসের দাম বাড়ানোর মাত্র কয়েক মাসের মাথায় শুরু হলো আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া।
Posted ১:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed