শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ২৪ জুন ২০২০   |   প্রিন্ট   |   277 বার পঠিত

আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

চাহিদা কমায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দফায় দফায় কমছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। দাম কমে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকায় নেমেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা।

বুধবার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, যা গতকাল ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি এবং শুক্রবার ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। অর্থাৎ চলতি সপ্তাহে দু’দফায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা আর একশ টাকার নিচে নামেনি। তবে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে রফতানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এরপরই দেশের বাজারে দফায় দফায় কমতে থাকে পেঁয়াজের কেজি। কয়েক দফা দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসে।

কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। ৪০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে ৮০ টাকায় উঠে যায়। এ পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদফতর ও র‌্যাব। পেঁয়াজের বাজারে চলে একের পর এক অভিযান। এতে আবারও দফায় দফায় দাম কমে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় নেমে আসে।

তবে রোজার আগে আবারও অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। কয়েক দফা দাম বেড়ে রোজার শুরুতে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকায় পৌঁছে যায়। এরপর রোজার মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে ৪৫ টাকায় নেমে আসে। এ পরিস্থিতিতে ঈদের আগে আবার দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হয় পেঁয়াজের কেজি। তবে ঈদের পর দাম কমে পেঁয়াজের কেজি আবার ৪০ টাকায় নেমে আসে।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়া বৌ-বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছি ২০ টাকা। গত শুক্রবার আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ টাকা। মূলত আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমায় দেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন যে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তার মান বেশ ভালো। এই পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাহলে মানুষ কেন ৫০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনে খাবে? আমাদের ধারণা, সামনে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও একটু কমবে। তবে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় দাম খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।’

খিলগাঁওয়ে ব্যবসায়ী জাফর বলেন, ‘পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় কয়দিন আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা হয়েছিল। এ সময় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা ছিল। দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় গত শুক্রবার হঠাৎ করে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়ে যায়। কিন্তু রোববার থেকে পাইকারিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে যায়। পাইকারিতে কম দামে কিনতে পারাই আজ আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা বিক্রি করেছি। আর দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’

রামপুরার ব্যবসায়ী শরিফ বলেন, ‘আজ পাইকারিতে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। বাজারে এখন আমদানি করা পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। কিন্তু আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা দেশি পেঁয়াজের তুলনায় কম। এ কারণে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দামের মধ্যে পার্থক্য দ্বিগুণ।’

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১২:০৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11192 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।